বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, খ্যাতিমান রাজনীতিক বাসদের আহ্বায়ক আ ফ ম মাহবুবুল হক আশংকাজন অবস্থায় অটোয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সোমবার সন্ধ্যায় সিড়ি থেকে পরে গিয়ে মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি অটোয়ার সিভিক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। তার মস্তিষ্কের অপারেশ প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর অজ্ঞাত ঘাতক গাড়ি চাপা দিয়ে তাকেঁ হত্যার চেষ্টা করে। দেশে চিকিৎসার পর বর্তমানে কানাডায় চিকিৎসাধীন আছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে রমনা থানায় একটি মামলাও হয়েছে। এছাড়া দলের পক্ষ থেকেও খ্যাতিমান এই নেতার হত্যা প্রচেষ্টার প্রতিবাদ করেছে প্রথম থেকেই।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা আ ফ ম মাহবুবুল হক ১৯৬২ সালে স্কুল জীবনে শরীফ কমিশনের প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষানীতি বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন ও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। তিনি ১৯৬৭-৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ সূর্যসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ৬৮-৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, ১৯৬৯-৭০ সালে কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বি এল এফ’র অন্যতম প্রশিক্ষক ও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও '৭৩-'৭৮ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৮-৮০ সালে ‘জাসদ’ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ১৯৮০ সালের শেষের দিকে ‘বাসদের’ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন।
১৯৮৩ সালে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নিযুক্ত হন। আপোষহীন এই নেতা ১৯৬৮ সালে প্রথম কারাবরণ করেন। ’৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত পুনরায় রাজবন্দি হিসাবে কারাগারে কাটান। ১৯৮৬ সালে আবার কারাবরণ করেন। ১৯৯৫ সালে ঋণখেলাপী কালোটাকার মালিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হন।
সূত্র: নতুনদেশ ডটকম
বিডি প্রতিদিন/২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল