সারা বিশ্বের মতো পর্যটন নগরী মালয়েশিয়াও সাদরে বরণ করে নিল ইংরেজি নতুন বছর ২০১৯ সালকে। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২ টা ০১ মিনিট (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ০১ মিনিটে) আতশ বাজির ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে উঠে রাতের কুয়ালালামপুরের আকাশ।
নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ আশ-পাশের শহর গুলো সেজেছে ভিন্ন আঙ্গিকে। বিকাল হতেই লোকজন ছুটে যান আধুনিক মালয়েশিয়ার প্রতীক মিনারা কেএলসিসি ও দাতারান মারদেকা স্কয়ারে। মারদেকা স্কয়ারে তৈরি করা হয় মুক্ত মঞ্চ, বিকাল থেকেই সংগীত পরিবেশন করেন মালয়েশিয়ার নামী দামী ব্যান্ড ও সংগীত শিল্পীরা, সুরের মূর্ছনায় সবাই হারিয়ে যায় যেন এক অজানায়।
মালয়েশিয়ার রাস্তা গুলোয় মালয়েশিয়ান, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশী পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে, বার, ক্লাব গুলোতে নামে উপচেপড়া ভিড়। কুয়ালালামপুরের চারদিকে নেওয়া হয় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা, প্রতিটি সড়কে যানবহন চলাচল রাখা হয় সাময়িক বন্ধ।
রাত ১২টা বাজার সাথে সাথেই তৈরি হয় এক অন্য রকম আবহ, চারদিকে শোরগোল চেঁচামেচিতে, সবাই এক সুরে ৫৯-১ পর্যন্ত গুনে শেষ করার সাথে সাথেই ১২টা ০১ মিনিটে আকাশে চোখ ধাঁধানো আতশ বাজির রঙে রঙিন হয়ে উঠে কুয়ালালামপুরের চারিদিক। এ আকর্ষণ পর্যটকসহ সকলকে মুহিত করে। আলোর ঝলকানিতে পুরো কেএলসিসি এলাকা আলোকিত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের জন্যে সবাই হারিয়ে যায় অন্য এক অজানায়, সকলেই হ্যাপি নিউ ইয়ার, হ্যাপি নিউ ইয়ার স্লোগানে বরণ করে নেয় নতুন বছর ২০১৯ কে।
কেএলসিসি ও দাতারান মারদেকা স্কয়ার ছাড়াও পুত্রাজায়া, কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং, সানওয়ে, কেপং, পুচং, সুবাংজায়া, আমপাং, চৌকিট ও ব্রিকফিল্ড এ ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করতে আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন