মালয়েশিয়ার সেলঙ্গর প্রদেশের কেলাং এলাকার মেরুতে আব্দুল্লাহ আল-মামুন (৩২) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে গলা কেটে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে নিজের দোকানে কাজ করার সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এসময় আহত হন আরও দুই বাংলাদেশি নারী।
মালয়েশিয়ার ক্লাং মেরুর তামান দাতু বান্দার এলাকার মাওফাকাত-এক সড়কের পাশের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় তামিল নাগরিকদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালো রঙের একটি গাড়িতে করে চার থেকে পাঁচজন দুর্বৃত্ত মামুনের দোকানে আসে। এসময় তারা দোকানের শাটার বন্ধ করে এ হত্যাকাণ্ড চালায় এবং পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন শাটার খুলে গলা কাটা অবস্থায় দেখতে পায় মামুনকে। এসময় আরও দুই নারীকেও সেখান আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, ওই নারীদের একজন মামুনের অংশীদার ও দোকানের অপর মালিক আবুল হোসেনের স্ত্রী। তারা এই হত্যাকাণ্ডে বাধা দেয়ার সময় আহত হন।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে কারণ উদঘাটনে ইতোমধ্যে অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের লেবার কাউন্সিলর জহিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও তারা জানেন না। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, মামুনের বাড়ি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামে। তার বাবার নাম মুনসুর আলী। ১০ বছর আগে শ্রমিক ভিসায় মালয়েশিয়া আসেন তিনি। মাত্র কিছুদিন আগে নিহত মামুন বাড়ি থেকে মালয়েশিয়ায় যান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন