বৈধ পথে স্বজনের কাছে টাকা পাঠিয়ে ২% হারে বোনাস নিন। মাতৃভূমির প্রতি দায়বদ্ধতা মেটাতেও বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানো দরকার। প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে। এমন অভিমত পোষণ করা হয় ১৮ ডিসেম্বর বুধবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’র অনুষ্ঠানে। “দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে, অর্থ সম্মান দুই মেলে” - এ স্লোগানে উজ্জীবিত কর্মদিবসের শুরু থেকেই কনস্যুলেটে আগত সেবা প্রার্থীদের ফুল ও চকলেট দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
কন্স্যুলেটে সেবা নিতে আসা শতাধিক প্রবাসীসহ বিশিষ্টজনরা ছিলেন এ অনুষ্ঠানে। এতে বক্তব্যকালে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রবাসীদের নানা উদ্যোগে আন্তরিক সহায়তার দিগন্ত প্রসারিত হয়েছে। বিনিয়োগে আগ্রহী প্রবাসীরা পাচ্ছেন ওয়ানস্টপ সার্ভিস। সোনালী এক্সচেঞ্জসহ বৈধ উপায়ে অর্থ প্রেরণকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থের ওপর ২% হারে বোনাস দেয়া হচ্ছে। একইসাথে রেমিটেন্স প্রেরণের জন্যে ফি’র পরিমাণ অনেক আগেই কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ডলারের মূল্যমানও পুননির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে রেমিটেন্সের প্রবাহে গতি আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চমৎকার পরিবেশ তৈরি করেছে। প্রবাসীদের সেবা প্রদানে আমরা মাঝেমধ্যেই দূরবর্তী স্থানে ভ্রাম্যমাণ কন্স্যুলেট ক্যাম্প করছি। সেবার ক্ষেত্র অবারিত করতে টেলিফোন সার্ভিসকে সারাক্ষণ ওপেন রাখা হচ্ছে। মেসেজ রাখলে তার জবাব দেয়া হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে। এসব সেবার পরিধি বিস্তৃত করতে বাংলাদেশি আমেরিকানরাও সহায়তা দিচ্ছেন আন্তরিক অর্থে।
কনসাল জেনারেল সোশ্যাল মিডিয়া সতর্কতার সাথে ব্যবহার করার জন্য অভিবাসীদের বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। তিনি আরও উল্লেখ্য করেন, সত্য মিথ্যা যাচাই করার পর যেন তথ্য শেয়ার বা পোস্ট করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে কন্স্যুলেটে আসা অতিথিবৃন্দকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে প্রেরিত ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। ভিডিও চিত্রটিতে সাইবার স্পেসে সত্যমিথ্যা যাচাই না করে তথ্য আপলোড বা শেয়ার এর নেতিবাচক বিয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে সোনালী একচেঞ্জের পরিচালনায় বৈধভাবে ও সহজ উপায়ে রেমিটেন্স প্রেরণে সোনালী একচেঞ্জ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ ও সরকার কর্তৃক রেমিটেন্স প্রেরণে প্রণোদনার বিষয়টি এবং আগত অতিথিদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, বিভিন্ন একচেঞ্জ কোম্পানিগুলো তাদের মাধ্যমে প্রেরিত শীর্ষ রেমিটারদের নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং শীর্ষ রেমিটারদেরকে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
দুই পর্বে বিভক্ত এ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও ভিডিও চিত্রপ্রদর্শনী। দ্বিতীয় ভাগে ছিল রেমিটেন্স বিষয়ক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা