ফ্রান্সের প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস পালন উদযাপন করেছে। সকালে রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তারিক আহসান দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।
কোভিড-১৯ মহামারির ফলে ফ্রান্স সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত পরিসরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ বছরের বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোর'আন তেলাওয়াত এবং শ্রীমদ্ভগবতগীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত এবং তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
বিজয় দিবসের আনন্দ উদযাপনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দূতাবাস অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজন করে। ফ্রান্সে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রবাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গুণীজন, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গুণীজন অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের গৌরবময় ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুত্থান ঘটে।
তাঁরা ইউনেস্কো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর নামে পুরষ্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জ্ঞাপন করেন।
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন, যার বিনিময়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গত ১১ ডিসেম্বর ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের ২১০ তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘UNESCO- Bangladesh Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman International Prize in the field of Creative Economy’ নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ পুরষ্কারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ যে অবিচ্ছেদ্য, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ যে একে অন্যের পরিপূরক এ পুরস্কারের শিরোনামে তা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ