করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভের পর থেকে স্থবির যুক্তরাজ্যের জীবন-যাপন। দেশটিতে চলতে কঠোর লক ডাউন। জরুরী সেবা ছাড়া সব কিছুই বন্ধ যুক্তরাজ্যে। কিন্তু এরই মধ্যে স্কুল খোলা ইচ্ছা পোষন করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
রবিবার সকালে বিবিসির বিখ্যাত উপস্থাপক এন্ড্রু মারের সাথে এক সাক্ষাত্কার দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই সাক্ষাত্কার ছিলো করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা। শিক্ষার্থীদের স্কুল খোলার বিষয় উঠে আছে। তবে সাক্ষাতকারে তেমন কোন আশা ব্যঞ্জক কথা পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এলাকাভিত্তিক কোভিড নিয়ম কানুন আরো কড়াকড়ি করা হবে।
তিনি আশংকা করছেন এই শীতের সামনের সপ্তাহগুলো আরো অনেক চ্যালেঞ্জিং বা প্রতিকূল হবে। আর, সামনের এই কঠিন সময়ের জন্যই হয়তো স্কুল বন্ধ থাকবে। তবে স্কুল বন্ধ থাক এটা তিনি চান না। শিক্ষামন্ত্রী পরিস্থিতি অনুযায়ী বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশা করছেন।
সরকার তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়েই করোনাভাইরাসএর First wave বা প্রথম ধাক্কা নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, শীত আশার আগেই জনগণকে সতর্ক করে আমরা বলেছি যে সামনে আমাদের কঠিন সময় পেরুতে হবে।
জনসন আশা প্রকাশ করেন যতো তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন বেশী মানুষের শরীরে দেয়া যাবে ততোই চলমান বিধি নিষেধ থেকে ব্রিটেন বের হতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রীর আশা আগামী তিন মাসের মধ্যে অন্তত ১০ মিলিয়ন অর্থাৎ১ কোটি লোক টিকা পাবে।
স্কুল খোলার বিষয়ে বরিস জনসন সবাইকে অনুরোধ করেন, নিজ এলাকার নিয়ম অনুযায়ী বাচ্চাদের স্কুলে দেয়ার জন্য। যদিও টিয়ার ফোর বিধিনিষেধের আওতাধীন এলাকাগুলোতে স্কুল আরো দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখতে শিক্ষকদের ইউনিয়ন মতামত দিয়েছে। সরকারও প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর এই সিদ্ধান্ত পর্যালাচনা করবে বলে আগেই জানিয়েছে। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী জনসন দেশবাসীকে মাস্ক পরতে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে আবারো অনুরোধ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন