মালয়েশিয়ায় টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহতম বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে আরও ১০ জনের মত এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ প্রধান তান সিরি আচরায়ল সানি আব্দুল্লাহ সানি।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর মুখোমুখি হয়ে পুলিশ প্রধান জানান, এর মধ্যে রাজধানী কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গর পাহাং রাজ্যে থেকে হতাহতদের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টানা দু-তিন দিনের ভারী বর্ষণে পাহাড় জঙ্গল ঘেরা দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্যে তুমুল বন্যা দেখা দিলে পানির নিচে তলিয়ে যায় অনেক গ্রাম ও শহর। তবে, বন্যার পানি ধীরে ধীরে সরতে শুরু করলেও এখনো কিছু অঞ্চলের জলাবদ্ধতা কমেনি। ভয়াবহ এ বন্যায় পানিবন্দি প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা।
এ বন্যাকে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছে মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমগুলো। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য পাহাং থেকে এখনো পানি না সরায় রাজ্যের বাসিন্দারা ঘরে ফিরতে পারছেন না। উদ্ধার কর্মীরা অব্যাহত ভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
এদিকে স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় অন্যান্য প্রদেশের মধ্যে রাজধানী কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গর প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের পরামর্শ দিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধীরগতির কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মালয়েশিয়া সরকার। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বহু লোকের গাদাগাদিতে আগামী দিনগুলোতে করোনার সংক্রমণ বাড়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর