আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের ফুলের শ্রদ্ধা জানাতে পর্তুগালের লিসবনের স্থায়ী শহীদ মিনারে ঢল নামে নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোরসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে প্রথমে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান। এরপর স্থানীয় সরকার জয়ন্তা ফ্রেগসিয়া আরিয়ারোর প্রেসিডেন্ট, পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্ব দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পর্তুগাল, পর্তুগাল যুবলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পর্তুগাল, বৃহত্তর ফরিদপুর এসোসিয়েশন ইন পর্তুগাল, বরিশাল কমিউনিটি অব পর্তুগাল, পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশন, ডেইলি শুভ বার্তা, ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, পর্তুগাল সংগীত শিল্পী সংঘ, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবসহ পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটি এর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ ও পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসীগণ।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধানিবেদনের পর বেদীর পাদদেশে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের দ্বিতীয় সচীব আবদুল্লাহ আল রাজীর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান, স্থানীয় সরকার জয়ন্তা ফ্রেগসিয়া আরিয়ারো এর প্রেসিডেন্ট প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত শহীদ দিবসের তাতপর্য তুলে ধরে বলেন, একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশ মানে প্রতিবাদ করা। একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হয়েছিলো বলেই আজ আমরা বাংলায় কথা বলতে পারছি। এ জন্য প্রতিটি মুহূর্ত একুশের চেতনা ধারণ করা উচিত আমাদের। একুশের চেতনায় উদ্ভাসিত হওয়ার জন্য সকল প্রবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি।
এদিকে একুশের অনুষ্ঠানমালার নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিলো পর্তুগালের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন