বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, কুনমিং, চীন-এ যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম কনস্যুলেট জেনারেল এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরসহ জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি সূচনা করেন।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা, মহান ভাষা শহীদদের ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশের উন্নতি -সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
এছাড়াও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা অনুষ্ঠান এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়েই অর্জিত হয় মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি এবং এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে আসে বাঙালির চিরকাঙ্খিত স্বাধীনতা, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি অনুসরণ করে, এ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও নাটিকা পরিবেশন করে।
প্রথম সচিব (উপসচিব) বজলুর রশীদ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন