'যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সিটি, স্টেট এবং কাউন্টিতে নির্বাচিত বাংলাদেশি আমেরিকানদের মধ্যে জোট গঠনের মাধ্যমে প্রিয় মাতৃভূমির কল্যাণে কাজের সুযোগ তৈরী করা সম্ভব। একইসাথে কমিউনিটির সামগ্রিক উন্নয়নের প্রত্যাশা পূরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া যাবে।'
এমন অভিমত পোষণ করে মধ্যবর্তী নির্বাচনে কানেকটিকাট থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে স্টেট সিনেটর হিসেবে বিজয়ী বাংলাদেশি আমেরিকান মো. মাসুদুর রহমান আরো বলেন, ‘আমার এ বিজয়, ব্যক্তি মাসুদুরের নয়, এ বিজয় যুক্তরাষ্ট্রে সকল প্রবাসী বাংলাদেশির বিজয়। এবং আমার এ বিজয় নিয়ে থেমে থাকলে চলবে না। আরো অনেক শেখ রহমান, আবুল খান, নাবিলাহ ইসলাম, শাহানা হানিফ সৃষ্টি করতে হবে। সকলকে সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে মার্কিন রাজনীতির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রচনা করতে হবে।’
আসছে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মেয়াদ শুরু হবে সিনেটর মো. মাসুদুর রহমানের। সে আলোকে তিনি বলেন, আমার মা দুটি বিষয় আমাকে শিখিয়েছেন। প্রথমটি হচ্ছে, কঠোর পরিশ্রম করবে বড়কিছু হবার জন্যে। এবং দ্বিতীয়ত: কখনোই নিজের ভূমিকা/প্রত্যাশার কথা ভুলবে না। যদি ভুলে যাও তাহলে কখনোই কামিয়াব হতে পারবে না। এ দুটি বিষয়কে আমি সবসময় হৃদয়ে ধারণ করে আসছি। এজন্যেই কানেকটিকাট স্টেট সিনেট নির্বাচনে আমি প্রথম বার দলীয় মনোনয়ন পেয়েও ৬১% ভোটে রিপাবলিকান প্রার্থীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছি। এটি একটি রেকর্ড ডেমক্র্যাটিক পার্টির ইতিহাসে।
নবনির্বাচিত এই সিনেটরের সম্মানে ২০ নভেম্বর রবিবার নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় ‘মীট এ্যান্ড গ্রীট’ শিরোনামে প্রবাসীদের এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মার্কিন রাজনীতিতে প্রবাসীদের পথিকৃত মোর্শেদ আলম। উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে মাসুদুর রহমান ছাড়াও জর্জিয়ায় স্টেট সিনেটর হিসেবে নাবিলাহ ইসলাম নামক আরেকজন বাংলাদেশি আমেরিকান জয়ী হয়েছেন। একই নির্বাচনে পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন সিনেটর শেখ রহমান (জর্জিয়া) এবং স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল খান (রিপাবলিকান)।
নিউইয়র্কের পার্শ্ববর্তী কানেকটিকাট স্টেট থেকে এই প্রথম নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদুর রহমান। তাঁর এ বিজয়কে বরণকল্পে আয়োজিত এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের সদস্য জন ল্যু, স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান ডেভিড ওয়েপ্রিন, সিটি কাউন্সিলম্যান লীরয় কমরী, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার মাজেদা এ উদ্দিন ও মোজাফ্ফর হোসেন, ডেমক্র্যাটিক ল’ইয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট এডভোকেট শেখ আখতার-উল ইসলাম, ডেমক্র্যাটিক পার্টির সংগঠক সৈয়দ রাব্বি, প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, শহীদ সন্তান ফাহিম রেজা নূর, সৈয়দ মোমÍফা আল আমিন রাসেল, ফখরুল ইসলাম মাসুম, সাইফুল ইসলাম, আমিন খান জাকির, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, অধ্যাপক হুসনে আরা, এম ফজলুর রহমান, মাসুদুল হাসান, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল