ব্রিটেনে পৌঁছানোর জন্য সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে গভীর রাতে সমুদ্রে ডুবে অনেক শরণার্থী মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কত শরণার্থী মারা গেছেন সেই সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। তবে যে নৌকা পানিতে ডুবেছে সেখানে অন্তত ৩০ জন নারী, পুরুষ, শিশু ছিলেন বলে ডেইলি মিরর দাবি করছে। ঘটনাটি বুধবার মধ্যরাতে ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটেছে। পানিতে ডোবা শরণার্থীদের উদ্ধার করতে ইতিমধ্যেই এইট এম কোস্ট গার্ড, নেভি, বর্ডার ফোর্স ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। গণমাধ্যমে এই ঘটনাকে বড় মাপের দুর্ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। এ্যাশফোর্ড এলাকার হাসপাতালগুলোর ইমার্জেন্সি সার্ভিস খালি করার জন্য বলা হয়েছে। এই উদ্ধারকাজে ফ্রান্সের কোস্ট গার্ডও কাজ করছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ব্রিটেনের জলসীমার ভেতরে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সরকার উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো বিস্তারিত কিছু বলার সময় আসেনি।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেও শরণার্থী আসার ঢল থামছে না। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এই
শরনার্থীদের ঢল থামাতে বেশকিছু পদক্ষেপের কথা পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন। তার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ২০২৩ সালের মধ্যেই আরও বেশি জনবল দিয়ে এ্যাসাইলাম আবেদনকারীদের জট শেষ করবেন। শুধু আলবেনিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের আবেদন যাছাই বাছাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য ৪০০ দক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া নতুন এক চুক্তির আওতায় আলেবনিয়ার বিমানবন্দরেও ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন অফিসার বসানো হবে।
ঋষি বলেন, ৭০০ কর্মী নিয়োগ করে ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়া ঠেকানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি সরকারের খরচ কমানোর জন্য শরণার্থীদের হোটেল সুবিধা বাতিল করে ১০ হাজার শরণার্থীকে হলিডে পার্ক, প্রাক্তন স্টুডেন্ট হলের মতো স্থাপনা ব্যবহার করবেন বলে জানান। এই মুহূর্তে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৭৭ জন শরণার্থী আবেদন অপেক্ষমান রয়েছে।
এদিকে নতুন আইন এনে অবৈধভাবে ব্রিটেনে প্রবেশের পথ সংকুচিত করা হচ্ছে। নতুন আইনে, ব্রিটেনে অবৈধভাবে ঢুকলে ৪ বছর জেল দেয়া হবে প্রথমেই। তারপর নিরাপদ দেশ যেমন ফ্রান্স বা ইউরোপের অন্য দেশ হয়ে ব্রিটেনে ঢুকলে তাদেরকে আবারও সেই দেশে পাঠানো হবে। এছাড়া এ্যাসাইলাম আবেদন বছরে ২০ হাজারের বেশি গ্রহণ করা হবে না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা