শিগগিরই তৈরি হবে সিলেটি ভাষায় পূর্ণদৈর্ঘ বাংলা সিনেমা। দেশ ও প্রবাসের অগণিত দর্শকের আগ্রহে ইতিমধ্যেই নির্মিত ‘মেইড ইন চিটাগাং’ ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের ২১ স্টেটের ৫১ সিনেমা হলে ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তি উপলক্ষে ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, মেইড ইন চিটাগাং-এর স্ক্রীণে ইংরেজি ও বাংলায় সাব টাইটেল থাকবে।
ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যেও বাজারজাত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে চলচ্চিত্রটির যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশক বায়োস্কোপ ফিল্মস এলএলসির কর্ণধার রাজ হামিদ গণমাধ্যমকে জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে ‘জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা’ হল ছাড়াও নিউজার্সি, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটস, নর্থ ক্যারোলিনা, নেভাদা, মিশিগান, মিজৌরি, ওহাইও, ওকলাহোমা, পেনসিলভেনিয়া, টেক্সাস, ভার্জিনিয়া, ওয়াশিংটন, ম্যারিল্যান্ড, ইন্ডিয়ানা, ইলিনয়, জর্জিয়া, কলোরাডো, ক্যালিফোর্নিয়া ও অ্যারিজোনার ৫১টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘মেইড ইন চিটাগং’।
তিনি জানান, এ ছবিটি একটি রোমান্টিক কমেডি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মত ছবি। উল্লেখ্য, রিয়াদ বিন মাহমুদের রচনা ও ইমরুল রাফাতের পরিচালনায় এ ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্যান্ড তারকা ও অভিনেতা পার্থ বড়ুয়া ও অপর্ণা ঘোষ। এছাড়াও রয়েছেন চিত্রলেখা গুহ, সাজু খাদেম, মুকিত আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ।
ছবিটির ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ হামিদ বলেন, ‘মেইড ইন চিটাগং’-এর গল্প ট্র্যাডিশনাল মেজবান ও দুই বাড়ির লোকজন তথা সমাজের বিভিন্ন সঙ্গতি-অসঙ্গতিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যেকার সামাজিক দ্বন্দ্ব ও প্রতিযোগিতার ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রেম ও বিরহের দৃশ্যও দেখতে পাবেন দর্শক। মূলত চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও ভাষাকে একটি স্যাটায়ার ও সিচুয়েশনাল গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ‘মেইড ইন চিটাগং’-এ।
রাজ হামিদ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, করোনা ও তার পরবর্তী সময়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তাময় একটি সময় কাটিয়েছি। আমার মনে হয় এখন সবার একটু হাল্কা হওয়া উচিত। একটু হাসা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এটি পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাসি-তামাশায় দেখার মত একটি ছবি।
এ সময় ছবিটির প্রযোজক রুপকথা প্রডাকশন্সের কর্ণধার এনামুল কবির সুজন জানান,‘পেট পুরাদ্দে তুয়ারলাই’ গানটি ইতিমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ভার্চুয়ালে ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয়কারি পার্থ বড়ুয়াও কথা বলেছেন। তিনি প্রবাসীদের আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন আঞ্চলিক ভাষার এই ছবিটিকে পৃষ্ঠপোষকতার জন্যে। যাতে পরবর্তীতে বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের ভাষাতেও ছবি নির্মাণের আগ্রহ বাড়ে। অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মীগণের পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশিষ্টজনেরাও ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন