প্রায় এক শতাব্দী পর জীবিত অবস্থায় প্রথমবারের মতো দেখা মিলেছে বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর একটি—কলসাল স্কুইড। আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের কাছে প্রায় ৬০০ মিটার গভীরে এই দুর্লভ জীবটিকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
‘শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউট’-এর গবেষণা জাহাজ ফ্যালকর থেকে রিমোট কন্ট্রোল চালিত পানির নিচের ড্রোন ব্যবহার করে ২০২৫ সালের ৯ মার্চ এই ভিডিও ধারণ করা হয়। প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা এক শিশু স্কুইডকে ধরা পড়ে ক্যামেরায়। বয়সে ছোট হলেও, পরিণত অবস্থায় এদের দৈর্ঘ্য ৭ মিটার পর্যন্ত হয় এবং ওজন দাঁড়ায় প্রায় ৫০০ কেজি—যা একে পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী অমেরুদণ্ডী প্রাণী করে তোলে।
এই প্রাণীটি Mesonychoteuthis hamiltoni নামেও পরিচিত। এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র মৃত অবস্থায় অথবা তিমির পেট থেকে পাওয়া কলসাল স্কুইডের নমুনার ভিত্তিতেই গবেষণা চলেছে। জীবিত অবস্থায় এমন দৃশ্য এবারই প্রথম ধরা পড়ল।
অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ড. ক্যাট বোলস্টাড বলেন, একটি জীবন্ত শিশু কলসাল স্কুইডের ভিডিও দেখা খুবই রোমাঞ্চকর।
এই স্কুইডের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—তার বাহুতে থাকা ঘূর্ণায়মান আঁশযুক্ত হুক, যা একে অন্যান্য স্কুইড থেকে আলাদা করে। একই অভিযানে আরও এক বিরল প্রজাতির স্কুইড ‘গ্লাসিয়াল গ্লাস স্কুইড’-এর ভিডিওও ধারণ করা হয়েছে।
শ্মিট ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. জ্যোতিকা বীরমানি বলেন, এই দুটি বিরল স্কুইডের টানা আবিষ্কার প্রমাণ করে, সমুদ্রের অনেক কিছুই এখনো অজানা। আমরা মাত্র শুরু করেছি সাগরের গভীর জীববৈচিত্র্য অন্বেষণ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল