আগের দিনে অফিস-আদালতে সই করে হাজিরা দিতে হতো। কিন্তু যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে হাজিরা দেওয়ার পদ্ধতিও। এখন বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স, যেখানে আঙুলের ছাপ দিয়ে হাজিরা দিতে হয়, নয়তো আইডি কার্ডটি পাঞ্চিং মেশিনের সামনে ধরতে হয় শুধু। সঙ্গে সঙ্গেই বিপ শব্দে আপনা অ্যাটেন্ডেন্স পড়ে যায়।
এর পিছনে কী প্রযুক্তি কাজ করে কখনও ভেবেছেন? একে বলে নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন বা এনএফসি। দু’টি ডিভাইসের মধ্যে স্বল্প দূরত্বে একে অপরের মধ্যে তথ্য বিনিময়। এই তথ্য বিনিময় আবার দুই রকম— অ্যাক্টিভ এবং প্যাসিভ।
প্যাসিভ এনএফসি ডিভাইসের মধ্যে পড়ে ক্ষুদ্র ট্রান্সমিটার যেমন এনএফসি ট্যাগ। এই ট্যাগগুলো অতি ছোট এবং গোলাকার। আইডি কার্ডে এই ট্যাগগুলোই লাগানো থাকে। এনএফসি ট্যাগের বৈশিষ্ট্য হল কোন পাওয়ার সোর্স ছাড়াই এটি কাজ করে এবং কাছাকাছি থাকা অন্য এনএফসি ডিভাইসকে তথ্য সরবরাহ করে।
সচরাচর আইডি কার্ডগুলোর বাইরের যে শক্ত কভার, তার ভিতরে লাগানো থাকে সেটিই এনএফসি ট্যাগ। ব্লুটুথ, ওয়াইফাই বা অন্যান্য ওয়্যারলেস সিগনালের মতোই রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহ করে এই এনএফসি প্রযুক্তি। একটি অ্যাক্টিভ ডিভাইস যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে সেই ফিল্ডের মধ্যে এসে পড়লে প্যাসিভ এনএফসি ট্যাগ শক্তি সঞ্চয় করে এবং অ্যাক্টিভ ডিভাইসকে তথ্য পাঠায়।
শুধু অফিসের পাঞ্চিং মেশিন নয়, এনএফসি ট্যাগ এখন ব্যবহার করা হচ্ছে স্মার্টফোনেও। সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া স্যামসাং গ্যালাক্সি জে৩-তে রয়েছে এই ট্যাগ।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ মে, ২০১৬/মাহবুব