গতির বিচারে সেরা দশ সুপারকম্পিউটারের দুটি চীনে আর চারটি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। বাকি চারটির মধ্যে জাপান, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও সৌদি আরবে একটি করে আছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার তৈরি করেছে চীন-ই। প্রতি সেকেন্ডে ৯৩ পেটাফ্লপ (১ পেটাফ্লপ=১ হাজার টেরাফ্লপ বা ১০ লাখ গিগাফ্লপ) গতির ‘সানওয়ে তাইহুলাইট’ নামের এই সুপারকম্পিউটার তৈরিতে স্থানীয় মাইক্রোচিপ ব্যবহার করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বছরে দুবার গতির বিচারে সেরা ৫০০ সুপারকম্পিউটার তালিকা প্রকাশ করে টপ ৫০০ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। জার্মান এবং মার্কিন বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে লিনপ্যাক বেঞ্চমার্কে জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। টপ ৫০০-এর আগের তালিকার শীর্ষেও ছিল চীন, তবে তিয়ানহে-২ নামের সে কম্পিউটার তৈরিতে মার্কিন মাইক্রোপ্রসেসর নির্মাতা ইনটেলের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছিল। তিয়ানহে-২ ছিল মাত্র ৩৩ পেটাফ্লপ গতির।
পশ্চিমা প্রযুক্তির ওপর যে চীনের নির্ভরশীলতা কমছে, সানওয়ে তাইহুলাইট সেটিই প্রমাণ করে। জানা যায়, জলবায়ু এবং জীবন বিজ্ঞান গবেষণায় ব্যবহারের জন্য চীনের উশি শহরের ন্যাশনাল সুপারকম্পিউটিং সেন্টারে এটি স্থাপন করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এ মজুমদার