ভবিষ্যতে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনার কথা বর্ণনা করে প্রথমবারের মতো আইটি ও আইটি সক্ষম সেবা (আইটি-আইটিইএস) শিল্পের উপর একটি স্বাধীন শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক আজ বৃহস্পতিবার জনতা টাওয়ারে ‘বেটিং অন দ্য ফিউচার- দ্য বাংলাদেশ আইটি-আইটিইএস ইন্ডাস্ট্রি’ (Betting on the Future – The Bangladesh IT-ITES Industry) শীর্ষক শ্বেতপত্রটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
ইউএস ভিত্তিক বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (বিসিজি) সহযোগিতায় স্থানীয় কোম্পানি ও সরকারি অংশীদারদের সাথে আলাপ ও মতামত নিয়ে এবং তথ্য সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক পরামর্শক ও গবেষণা সংস্থা এভারেস্ট গ্রুপ শ্বেতপত্রটি প্রণয়ন করে।
শ্বেতপত্রে ২০১৭ সালে স্থানীয় আইটি ও আইটিইএস শিল্পের রাজস্ব উৎপাদন ০.৯-১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালে তা পাঁচগুন বেড়ে ৪.৬-৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
পলক বলেন, বিগত ৯ বছরে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে। এ খাতে নানা সাফল্যের কাহিনীও তৈরি হয়েছে। বর্তমানে সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আবির্ভাব এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রস্ততি গ্রহণ করছে। বিগ ডেটা অ্যানালাইটিক, ইস্টারনেট অব থিংস, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের মতো ক্ষেত্র সমূহের জন্য প্রশিক্ষিত মানুষ তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আইটি শিল্পে দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য নানা ধরণের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার আইসিটি রপ্তানির লক্ষ্য পূরণ।
তিনি আরও বলেন, "আইসিটি রপ্তানি ইতিমধ্যে ৮০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে এবং আমরা আশাবাদী যে ২০২১ এর আগেই আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো।
আইসিটি বিভাগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্বেতপত্রটি বাংলাদেশকে আইসিটি হাব হিসেবে গড়ে উঠার ক্ষেত্রে একটি পথ নির্দেশক হিসেবে কাজ করতে পারে। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশের অভিযাত্রায় নানা উদ্যোগের বাস্তবায়নের ফলে আইসিটি খাতের উন্নয়নের চিত্র ফুটে উঠেছে।
বিসিসি-এর কার্যনির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার, এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং কম্পোনেন্ট টিম লিডার সামি আহমেদ, বিসিজি পার্টনার জারিফ মুনির, এভারেস্ট গ্রুপের পরিচালক প্রশ্রয় কালাসহ আইটি শিল্পের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শ্বেতপত্রটিতে বাংলাদেশের আইটি-আইটিইএস ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান পরিস্থিতি, দেশের অনন্য মূল্য প্রস্তাবনা ও আইটি-আইটিইএস ইন্ডাস্ট্রির এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা বিপত্তি ও সুযোগের বর্ণনা রয়েছে।
শ্বেতপত্রটি সকলের ডাউনলোডের জন্য এভারেস্ট গ্রুপের ওয়েবসাইট ও এলআইসিটি প্রজেক্টের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ নভেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম