মাত্র সাত বছর বয়সে শিশু রায়ান ইউটিউব থেকে আয় করেছে ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা।
এর জন্য তেমন কোনো কারিশমা তাকে দেখাতে হয়নি। শুধু শিশুদের খেলনার রিভিউ পোস্ট করে সে এখন বিশ্বজুড়ে তারকা খ্যাতি পেয়ে গেছে। ইউটিউবে তার চ্যানেলের নাম ‘রায়ান টয়েস রিভিউ’।
রায়ানকে ওই চ্যানেলটি ২০১৫ সালে খুলে দেন তার পিতামাতা। এর মধ্যে তার চ্যানেলে যে পরিমাণ ভিডিও জমা হয়েছে তা ভিউ হয়েছে ২৬০০ কোটিবার। ফলো বা অনুসরণ করছে এক কোটি ৭৩ জন। এই চ্যানেল থেকে রায়ান যে ২ কোটি ২০ লাখ ডলার উপার্জন করেছে তার মধ্যে ভিডিও শুরু হওয়ার আগে যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয় তা থেকে এসেছে ১০ লাখ ডলার। বাকিটা এসেছে স্পন্সর পোস্ট থেকে।
কেন তার ভিডিও পোস্টে এত লাইক, বিজ্ঞাপন! এর উত্তর হলো রায়ান যেসব খেলনার রিভিউ করে তা দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। ফলে তার চ্যানেলে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজ্ঞাপন।
গত আগাস্ট মাস থেকে ‘রায়ান’স ওয়ার্ল্ড’ নামে খেলনা আর পোশাকের বেশ কিছু আইটেম বিক্রি করতে শুরু করে খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। এখানে একটি ভিডিও দেখানো হয় যে, রায়ান এবং তার বাবা-মা নিজেদের খেলনা খুঁজছে, যে ভিডিওটি ইউটিউবে গত তিনমাসের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি বার দেখা হয়েছে।
ওয়ালমার্ট থেকে পাওয়া লভ্যাংশ সামনের বছর রায়ানের আয়ে যোগ হবে বলে বলছে ফোর্বস। শিশু হওয়ার কারণে রায়ানের মোট আয়ের ১৫ শতাংশ একটি ব্যাংক একাউন্টে জমা করে রাখা হচ্ছে। যখন সে প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখন এই টাকা তুলতে পারবে। রায়ানের একজোড়া জমজ বোনও রয়েছে। রায়ানের পরিবার নামে কিছু ভিডিওতে তাদেরও দেখা যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন