হোয়াটসঅ্যাপের নতুন নতুন গোপনীয়তা নীতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপকে নোটিশ দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তা মানতে নারাজ হোয়াটসঅ্যাপ।
বৃহস্পতিবার হোয়াটসঅ্যাপের পাল্টা দাবি, নতুন প্রাইভেসি পলিসি কোনোভাবেই ব্যবহারকারীদের মেসেজে প্রভাব ফেলে না। ফেসবুকের নিজস্ব এই মেসেজিং অ্যাপ আরও জানায়, ভারত তাদের নতুন গোপনীয়তা নীতি অনেকেই এখনও গ্রহণ করেননি। এর জন্য ১৫ মে এর পর থেকে কোনো অ্যাকাউন্ট ডিলিটও করা হয়নি। কোনো অ্যাকাউন্টের পরিষেবাও বন্ধ করা হয়নি।
ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে গত মঙ্গলবার রাতে হোয়াটসঅ্যাপের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়। ডেটা সুরক্ষা ও তথ্যের গোপনীয়তা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়। প্রাইভেসি পলিসি অবিলম্বে প্রত্যাহার না করলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। ২৫ মে এর মধ্যে এ ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়।
হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্রের দাবি, 'হোয়াটসঅ্যাপের নতুন যা কিছু অপশন আসে সে সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের জানানো আমাদের দায়িত্ব। অনেকেই নতুন প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করেছেন আবার অনেকেই করেননি। আগামী বেশকয়েক সপ্তাহ এই ব্যাপারে তাদের আমরা মনে করাতে থাকব। গ্রাহকদের ব্যক্তিগত চ্যাট ও তথ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা দায়বদ্ধ। সরকারকে সব প্রশ্নের জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।'
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত