চীনের স্টার্টআপ ডিপসিক, যার কাছে বর্তমানে শক্তিশালী ‘ডিপসিক-আর ১’ ওপেন সোর্স রিজনিং মডেল রয়েছে, বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যা মার্কিন আধিপত্যে এক নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। ফোর্বস এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই চ্যালেঞ্জের পেছনে রয়েছে একটি চমকপ্রদ অর্জন।
জানা গেছে, ডিপসিক মাত্র ৬ মিলিয়ন ডলার কম্পিউটিং শক্তি ব্যবহার করে মার্কিন কোম্পানিগুলোর তুলনায় অনেক কমসংখ্যক চিপ দিয়ে নিজেদের মডেলটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমানে প্রযুক্তি বিশ্বে এই অর্জন সিলিকন ভ্যালির উদ্যোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কারণ হিসেবে জানানো হচ্ছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে চীনা গবেষকরা যে সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে বড় এতো বড় উদ্ভাবন করেছেন, যা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য।
সম্প্রতি ডিপসিকের এই সাফল্য নিয়ে ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ডিপসিকের এআই মডেল বর্তমানে বাজারে বিদ্যমান মডেলগুলোর সাথে ভালো কাজ করছে। এর মধ্যে ওপেনএআইয়ের ‘ওয়ান১’ মডেলকেও টেক্কা দিতে সক্ষম হয়েছে।
ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা ও বিনিয়োগকারী ক্রিস ভি. নিকলসন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় এআই কোম্পানিগুলো সাধারণত ১৬ হাজার চিপের সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে, তবে ডিপসিক শুধুমাত্র ২ হাজার এনভিডিয়া চিপ ব্যবহার করে তাদের মডেলটি তৈরি করেছে। এর ফলে ছোট ও মধ্যম আকারের ডেভেলপাররা এটি ব্যবহার করতে পারবেন, যেহেতু তাদের খরচ কম হচ্ছে সেহেতু প্রতি মিলিয়ন ইনপুট টোকেনের জন্য মাত্র ০.৫৫ ডলার খরচ করেও এটা ব্যবহার করা সম্ভব।
এআই খাতে মার্কিন আধিপত্যের মধ্যেও ডিপসিক একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা আগামী দিনে বিশ্বের প্রযুক্তি দৃশ্যপটে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। এর পাশাপাশি, ডিপসিকের ওপেন সোর্স উদ্যোগের মাধ্যমে প্রযুক্তি বিশ্বের সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, যা ছোট ডেভেলপারদের জন্য এক বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ফোর্বস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
বিডি প্রতিদিন/আশিক