শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ আপডেট: ০০:২৪, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫

পৃথিবী বিধ্বংসী যত দাবানল

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
পৃথিবী বিধ্বংসী যত দাবানল

দাবানল- পৃথিবী বিধ্বংসী এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটি মূলত প্রকাণ্ড এক আগুনের স্রোত; যা যে কোনো অঞ্চলকে নিমিষেই পুড়িয়ে দিতে পারে। পরিণত করতে পারে কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরীতে। জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীকে নানা দুর্যোগের কোলে ঠেলে দিচ্ছে। এর জ্বলন্ত এক উদাহরণ হলো দাবানল। যদিও এটি অস্বীকার করার উপায় নেই, বিজ্ঞানীরাও বারবার এ ব্যাপারে সতর্কতা দিয়ে আসছেন। জাতিসংঘ বলছে, এই শতকের শেষাংশে এমন বিধ্বংসী দাবানলের ঘটনা আরও প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এ তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পশ্চিম আমেরিকা, উত্তর সাইবেরিয়া মধ্য ভারত এবং পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার দেশগুলো। এর সর্বশেষ উদাহরণ হলো- ক্যালিফোর্নিয়া দাবানল। যা আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানলের তকমা পেয়েছে...

 

ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালিমেডস ফায়ার

আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড- ক্যালিফোর্নিয়া দাবানল

২০০০ সাল থেকে আমেরিকা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) প্রতিবছর গড়ে ৭০,৬০০টি দাবানলের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সাম্প্রতিককালের দৃশ্যপট বিবেচনা করে দেখা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ (আগুনের সূত্রপাত : ৭ জানুয়ারি) ধরে একাধিক দাবানলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস। এখনো এ অঞ্চলে তিনটি বড় দাবানল জ্বলছে। এরই মধ্যে গত ২৪ জানুয়ারি অন্যতম ধনী শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে নতুন করে আবার দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ৯ হাজার ৪০০ একরেরও বেশি ভূমি গ্রাস করেছে আগুন। স্থানীয় প্রশাসন সেখান থেকে ৩১ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ায় শক্তিশালী সান্তা আনা বাতাস এবং শুষ্ক পরিস্থিতির কারণে জানুয়ারি মাসে একাধিক তীব্র দাবানল গোটা লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়ে। শুরুটা হয় প্যালিসেডস ফায়ার দিয়ে, ৭ জানুয়ারি সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যাসিফিক প্যালিসেডসে (পূর্বে অবস্থিত একটি পাড়া) একটি ঝোপঝাড়ের আগুন দাবানল হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই দাবানলটি প্রায় ২৩ হাজার ৪৪৮ একর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যালিফোর্নিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ফরেস্ট্রি এবং ফায়ার প্রোটেকশন (ক্যাল ফায়ার) জানিয়েছে, প্রায় দুই সপ্তাহের দাবানলে ১২ হাজারের বেশি বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। এমন ভয়াবহতায় অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে কিছু লোক তাদের বাড়ি রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্র বলছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের মধ্যে সর্ববৃহৎ দাবানল হলো- প্যালিসেডস ফায়ার। এর ক্ষয়ক্ষতির পরিধি ৩৬ দশমিক ৬ বর্গমাইলেরও বেশি।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, দাবানলে কমপক্ষে ২৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ১৭ জন ইটন ফায়ারে এবং ১১ জন প্যালিসেডস ফায়ারে নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে প্রায় ২ লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল, যখন দমকলকর্মীরা দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে আসছিলেন। এর পরবর্তী দিন এবং সপ্তাহগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা প্যালিসেডস এবং ইটন দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা পুনরায় বসবাসের যোগ্য করার ঘোষণা দিয়েছেন। ভয়াবহ দাবানলগুলো হলিউডপাড়াসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের পুরো পাড়া এবং ব্লকগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফলে অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। জিপিএর্মকান-এর তথ্য অনুসারে, দাবানলের কারণে বিমা ক্ষতি ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর লস অ্যাঞ্জেলেসের মোট অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত আমেরিকার ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল দাবানল। এর আগে ২০১৮ সালের ক্যাম্প ফায়ার থেকে সৃষ্ট দাবানলে প্রায় ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন বিমা ক্ষতি হয়েছিল।

ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী এই আগুনের পেছনে থাকা পরিস্থিতিগুলোর মধ্যে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি মানুষের কারণে সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় আগুন শুরু হওয়ার সময় উদ্ভিদের চরম শুষ্কতার পেছনের কারণগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রায় এক-চতুর্থাংশ শুষ্কতার জন্য দায়ী। তারা বলেন, গ্রীষ্ম ও শরৎকালের চরম তাপ পাহাড়ের ঢালের ঝোপঝাড় ও ঘাসগুলোকে শুকিয়ে দিয়েছে, যা আগুন ধরে গেলে জ্বালানি হিসেবে আরও তীব্রভাবে পুড়তে সহায়তা করেছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা না বাড়লে আগুন চরম হতো ঠিকই, তবে সেগুলো কিছুটা ছোট এবং কম তীব্র হতো।

জলবায়ু বিজ্ঞানী পার্ক উইলিয়ামস (ইউসিএলএর ক্লাইমেট অ্যান্ড ওয়াইল্ডফায়ার রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ) এবং তার সহকর্মী অ্যালেক্স হল, গ্যাভিন মাদাকুম্বুরা এবং অন্যরা মিলে একটি বিশ্লেষণ প্রস্তুত করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, এই ধ্বংসাত্মক আগুনের জন্য তিনটি উপাদান একসঙ্গে কাজ করেছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে খুব বেশি জ্বালানি সরবরাহ, অত্যন্ত শুষ্ক জ্বালানি (ঝোপঝাড় ও শুষ্ক উদ্ভিদ এবং মৌসুমের অত্যন্ত শক্তিশালী সান্তা আনা বাতাস লস অ্যাঞ্জেলেসের দুর্ভাগ্য বাড়িয়েছে। তারা দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার অত্যন্ত শুষ্ক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেন, যেখানে আট মাস ধরে উল্লেখযোগ্য কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।

লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি আবহাওয়া স্টেশনে ১ মে থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে মাত্র ০.২৯ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা ১৮৭৭ সালের পর দ্বিতীয় শুষ্কতম হিসেবে স্থান পায়। গবেষকরা জানান, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার তাপমাত্রা মৃত উদ্ভিদের জ্বালানি আর্দ্রতা কমে যাওয়ার জন্য আংশিক দায়ী। তারা অনুমান করেছেন, অস্বাভাবিক তাপ উদ্ভিদের শুষ্কতার জন্য প্রায় ২৫% দায়ী, যেখানে বৃষ্টিপাতের অভাব বাকি ৭৫%-এর জন্য দায়ী। যখন শক্তিশালী সান্তা আনা বাতাস আসে, এটি আগুনের উচ্চ ঝুঁকির সব কারণকে একত্রিত করেছিল।

 

দাবানল কী?

শুষ্ক বনাঞ্চলে মাত্রাতিরিক্ত উত্তাপে সৃষ্ট আগুন বনাঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা দাবানল হিসেবে পরিচিত। বনের ভিতরে ঘন ঝোপঝাড় এবং পরস্পর সংস্পর্শে থাকা গাছপালা স্বতঃস্ফূর্ত দহনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। এমতাবস্থায় ছোট একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গই যথেষ্ট গোটা বনভূমিকে ভয়াবহ অঙ্গারে পরিণত করার জন্য। দাবানল মূলত একটি আগুনের স্রোতের মতো যা মূলত মুহূর্তের মধ্যে পুড়িয়ে ছাই করে দিতে পারে গোটা একটি অঞ্চল।

 

দাবানল কেন হয়?

দাবানল পৃথিবীর জন্য চরম বিধ্বংসী হতে পারে, যা বায়ুমণ্ডলে কার্বন ছড়ায়, উদ্ভিদ ধ্বংস করে এবং মানব সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে। বিভিন্ন কারণে দাবানল সৃষ্টি হতে পারে। মূলত এর প্রধান কারণ- কোনো এলাকায় দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হলে খরা হয়। আর এই খরা এবং শুকনো উদ্ভিদ দাবানল তৈরি করে। শুকনো জায়গায় দ্রুত আগুন ধরে। তখনই হয় দাবানল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দাবানলের স্ফুলিঙ্গের সাধারণ প্রাকৃতিক কারণ থাকে বজ্রপাত। মানবসৃষ্ট কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যাম্প ফায়ার, সিগারেটের উচ্ছিষ্ট বা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি।

 

এর ক্ষতিকর প্রভাব

♦ দাবানলের কালো ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড ছড়ায়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ এবং এটি পরিবেশ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ব্যাহত করতে পারে। ফলে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।

♦ দাবানল মানুষকে সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে। গকেষকদের ভাষ্য, প্রতিবছর কয়েক শ মানুষ দাবানলে প্রাণ হারান। আরও অনেক বেশি মানুষকে (১০ হাজার বা কয়েক লাখ) সরিয়ে নেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে তারা স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হন। তাছাড়া বায়ুদূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

♦ দাবানল প্রাণীদেরও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বেশির ভাগ সময় দাবানলের কারণে বন উজাড় হয়। এই বনাঞ্চলের উদ্ভিদ, যা এক সময় প্রাণীদের বসবাসের জায়গা (আবাসস্থল) হিসেবে কাজ করত, তা ধ্বংস হওয়ায় ওই অঞ্চলের বন্যপ্রাণীর টিকে থাকার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

♦ দাবানল বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য কাঠামো ধ্বংস করতে পারে। স দাবানল পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।

♦ দাবানলের আবর্জনা নদী ও জলাশয়গুলোকে বন্ধ করে দিতে পারে, যা বন্যার ঝুঁকি বাড়ায়। জলাধারগুলোয় নাইট্রোজেন এবং দ্রবীভূত কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা ১৫ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, সুপেয় পানির সংকট সৃষ্টি করে।

 

দাবানলের ‘বৈশ্বিক প্রভাব’

দাবানলের বৈশ্বিক প্রভাব

দাবানল বৈশ্বিক আবহাওয়ার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। দাবানল প্রাকৃতিক কারণে হতে পারে, তবে অনেক সময় মানুষের কার্যকলাপ এবং জলবায়ু পরিবর্তন এর ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতা অনেক বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী ১৫টি বড় দাবানলের ঘটনা ঘটে। যা সে বছরে ৯ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি ধ্বংস করে। শতাব্দীর শুরু থেকে ২০২৩ সালটি সবচেয়ে খারাপ বছর ছিল। সে বছরে কানাডায় সবচেয়ে বড় দাবানল দেখা যায়। ফলে বিলিয়ন বিলিয়ন মেট্রিক টন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়েছিল। ২০২৪ সালের প্রথম বড় দাবানল শুরু হয়েছিল পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত অ্যামাজনে। সে বছরে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় বড় অগ্নিকাণ্ডের দেখা মেলে। ইউরোপের অঞ্চলগুলোয় প্রায়শই দাবানল আঘাত হানছে। গ্লোবাল ওয়াইল্ডফায়ার ইনফরমেশন সিস্টেম-এর তথ্যমতে, দাবানল প্রতিবছরই লাখ লাখ হেক্টর বনভূমিগুলোকে গ্রাস করে। নিচের ছবিতে প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের কারণে ২০১২ সাল থেকে বার্ষিক মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান দেখানো হলো-

 

এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, জলবায়ু পরিবর্তন সারা বিশ্বের দাবানলের মাত্রাকে আরও খারাপ করে তুলছে। জাতিসংঘের মতে, চলতি শতাব্দীর শেষনাগাদ দাবানলের পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। যেখানে পশ্চিম আমেরিকা, উত্তর সাইবেরিয়া, মধ্য ভারত এবং পূর্ব অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যেই কয়েক দশক আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অনেক বেশি অগ্নিকাণ্ডের মুখোমুখি হচ্ছে। এখানে ইতিহাসের বিধ্বংসী দাবানল সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হলো-


পৃথিবী নামক গ্রহে দাবানলের (অগ্নিকাণ্ড) ইতিহাস নতুন নয়। বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুসারে, পৃথিবীতে রেকর্ড করা সবচেয়ে প্রাচীনতম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে প্রায় ৪২০ মিলিয়ন বছর আগে। সিলুরিয়ান পিরিয়ডের শেষের দিকে গঠিত শিলা ও কাঠকয়লা থেকে এটি শনাক্ত করা হয়েছে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে বিশ্বের অনেক দেশের বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির কারণ দাবানল। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারাত্মক দাবানল দুটি সংঘটিত হয় আমেরিকায়। ১৮৭১-এর গ্রেট ফায়ার-এ বিক্ষিপ্তভাবে পেশটিগোর দাবানল, শিকাগো দাবানল, মিশিগান দাবানল এবং অন্টারিওর দাবানলে সব মিলিয়ে ছিল প্রায় ৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। অন্যদিকে ১৯১০ সালের গ্রেট ফায়ার অব কানেকটিকাটের অগ্নিকাণ্ড ৮৫ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। ১৯১৮ সালের মিনেসোটার ক্লোকেট ফায়ারে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫৩। ১৯১৯ সালে কানাডার গ্রেট ফায়ারে ১১ জনের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৮৭ সালে চীন ও রাশিয়ায় ব্ল্যাক ড্রাগনের অগ্নি তাণ্ডবে ২১১ জন প্রাণ হারান। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার ব্ল্যাক স্যাটার্ডে বুশফায়ারে ১৭৩ জন এবং কানাডার মিরামিচি ফায়ারে ১৬০ জনের প্রাণ যায়। তাছাড়া ১৯৮৯ সালে কানাডার ম্যানিটোবা ওয়াইল্ডফায়ারস ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন একর জমি ধ্বংস করে ফেলে। এমনকি ২০১১ সালের রিচার্ডসন ব্যাককান্ট্রি ফায়ারও প্রায় ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন একর বোরিয়াল বনাঞ্চলকে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলে। ২০১৯/২০২০ অস্ট্রেলিয়ান বুশফায়ার হাজার হাজার ভবন ধ্বংস করে এবং কয়েক ডজন মানুষসহ ৩ বিলিয়ন প্রাণীর জীবন কেড়ে নেয়। এর মধ্যে ৬১ হাজার কোয়ালার প্রাণহানি ছিল অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস নগরীর ওয়াইল্ডফায়ারসে প্রায় ১ মিলিয়ন একর জমি পুড়ে গিয়েছিল। ভয়ংকর এমন অগ্নিকাণ্ড বা দাবানলের এই রেকর্ডগুলো আজও সভ্যতার ক্রমবিকাশের ওপর আস্থার ভিতকে নাড়িয়ে দেয়। বলে রাখা ভালো- বনভূমির আগুন নির্দিষ্ট অঞ্চলে কিছু একটি সাধারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত। যেমন- সাইবেরিয়া (রাশিয়া), ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন, ওরেগন, টেক্সাস, ফ্লোরিডা (যুক্তরাষ্ট্র), ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (কানাডা) এবং অস্ট্রেলিয়া। বিশেষত ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু বা টাইগা জীবমণ্ডলযুক্ত এলাকাগুলোয় দাবানলের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত যে কোনো দাবানল নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে থাকলে একে ইকোসিস্টেমের অংশ হিসেবেই ধরা হয়। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেই তা বিধ্বংসী রূপ ধারণ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দাবানল বিধ্বংসী হয়ে ওঠার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন।

 

থমাস ফায়ার

থমাস ফায়ার

২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার পাউলার উত্তরে থমাস ফায়ার পাওয়ার লাইনের কারণে সৃষ্ট আগুন জ্বলে ওঠে। এক নজিরবিহীন দুর্যোগ হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার থমাস ফায়ার রেকর্ড গতিতে ছড়ায়। ডা রাজ্যের ভেন্টুরা এবং সান্তা বারবারা কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং ৪৪০ বর্গ মাইলেরও বেশি এলাকা পুড়িয়ে ফেলে। এটি ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার অতীতের রেকর্ডকৃত অন্যতম বৃহৎ অগ্নিকাণ্ড। এতে দুজনের প্রাণহানি ঘটে। তন্মধ্যে একজন দমকলকর্মী ও একজন সাধারণ নাগরিক। আগুন সান্তা পাউলার কাছে শুরু হওয়ার ৪০ দিন পরে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এর আগে এই আগুন ১ হাজারের বেশি স্থাপনাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়।

 

সিডার ফায়ার

সিডার ফায়ার

২০০৩ সালেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় আরেকটি অগ্নিকাণ্ড প্রলয়ঙ্করী রূপ ধারণ করেছিল। রাজ্যটির ক্লিভল্যান্ড ন্যাশনাল ফরেস্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডের তদন্তকারী দলের রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় শুষ্ক আবহাওয়া এবং প্রবল বাতাসের কারণে এই অগ্নিকাণ্ড এক ডজনেরও বেশি দাবানলের সৃষ্টি করে; যা ২৫ অক্টোবর ২০০৩ থেকে ৫ নভেম্বর ২০০৩ পর্যন্ত সান ডিয়েগো কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়ে। এই অগ্নিকাণ্ড ২ লাখ ৭০ হাজার একরেরও বেশি এলাকা পুড়িয়ে দিয়েছিল এবং ১৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। সেই সময় সিডার ফায়ার ক্যালিফোর্নিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম এবং ধ্বংসাত্মক দাবানল ছিল।

 

 

দ্য গ্রেট ফায়ার (১৯১০ সাল)

দ্য গ্রেট ফায়ার (১৯১০ সাল)

১৯ শতকের যুক্তরাষ্ট্রে যেসব বিপর্যয়ের কথা শোনা যায়, দ্য গ্রেট ফায়ার তার অন্যতম। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবানল। এই মহা আগুন, যা বিগ বার্ন বা বিগ ব্লোআপ নামেও পরিচিত। ফলাফলও ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। বনভূমির এই আগুন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলের (আইডাহোর ওয়ালেস শহরের পূর্বদিক) ৩ মিলিয়ন একর জমি পুড়িয়ে ছাই করে ফেলে। এর তাণ্ডবে মারা যান ৮৭ জন মানুষ। এদের অধিকাংশই দমকলকর্মী। এই অগ্নিকাণ্ড দেশটির ফরেস্ট সার্ভিসকে প্রভাবিত করে। ফলে অগ্নি সুরক্ষা আইন হয়। যার মধ্যে স্মোকি দ্য বেয়ারও অন্তর্ভুক্ত।

 

ব্ল্যাক ফ্রাইডে বুশফায়ারস

ব্ল্যাক ফ্রাইডে বুশফায়ারস

১৯৩৯ সালের ব্ল্যাক ফ্রাইডে বুশফায়ারস। এটি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ আগুন হিসেবে পরিচিত। ফলাফল হিসেবে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রায় ৫ মিলিয়ন একর জমি ধ্বংস হয়েছিল। কয়েক বছরের খরা, উচ্চ তাপমাত্রা এবং শক্তিশালী বাতাসের কারণে দাবানলটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে; যা রাজ্যের তিন-চতুর্থাংশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং ৭১ জনের প্রাণহানি ঘটে; যা অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় সবচেয়ে প্রাণঘাতী বুশফায়ার হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৩৯ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল এ দাবানলের স্থায়িত্ব।

 

সাইবেরিয়ান তাইগা ফায়ারস

সাইবেরিয়ান তাইগা ফায়ারস

দাবানল সৃষ্টি হলে তা কয়েক ঘণ্টা বা দিনের ব্যবধানে যে সবকিছু একেবারে নিবে যাবে তা একেবারেই নয়। এর বড় উদাহরণ সাইবেরিয়ার তাইগা ফায়ারস। এটি এক উষ্ণ গ্রীষ্মকালে পূর্ব সাইবেরিয়ার তাইগা অরণ্যে সৃষ্টি হয়েছিল। আর সেটি ছোট ছোট স্ফুলিঙ্গের আকারে ২০২২ সালের মে মাস থেকে শুরু হয়ে এখন অবধি জ্বলছে। এটি সাইবেরিয়া, রুশ পূর্বাঞ্চল, উত্তর চীন এবং উত্তর মঙ্গোলিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ৫৫ মিলিয়ন একর (২২ মিলিয়ন হেক্টর) জমি ধ্বংস করে ফেলে। এটি প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন টনের কাছাকাছি কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ করেছে।

 

চিনচাগা ফায়ার

চিনচাগা ফায়ার

এই অগ্নিকাণ্ড যা উইস্প ফায়ার বা ফায়ার নাইন্টিন নামেও পরিচিত। ১৯৫০ সালের জুন থেকে শরৎকালের শুরু পর্যন্ত উত্তর ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং আলবার্টায় জ্বলেছিল। এটি উত্তর আমেরিকার অন্যতম বৃহৎ অগ্নিকাণ্ড হিসেবে পরিচিত। এলাকার বসতি কম থাকায় মানুষের ওপর এর প্রভাব সীমিত ছিল। তবে এটি অবাধে পুড়তে থাকে। প্রায় ৪.২ মিলিয়ন একর (১.৭ মিলিয়ন হেক্টর) বোরিয়াল বনাঞ্চল পুড়ে ছাই করে ফেলে। এর থেকে সৃষ্ট ধোঁয়াকে বলা হয় গ্রেট স্মোক পল। কারণ এর ফলে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সূর্যকে দেখাই যায়নি।

এই বিভাগের আরও খবর
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
বর্ষবরণে যত আয়োজন
বর্ষবরণে যত আয়োজন
বাঙালির আনন্দ শোভাযাত্রা
বাঙালির আনন্দ শোভাযাত্রা
বাংলা সনের জনক সম্রাট আকবর
বাংলা সনের জনক সম্রাট আকবর
পয়লা বৈশাখ প্রকৃত গণতন্ত্র চায়
পয়লা বৈশাখ প্রকৃত গণতন্ত্র চায়
সমুদ্রতলে অজানা রহস্য
সমুদ্রতলে অজানা রহস্য
শতবর্ষি যুদ্ধ
শতবর্ষি যুদ্ধ
সর্বশেষ খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

১ সেকেন্ড আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে