আমার এক ছোটভাই বলল, বিয়ের আগে আমি খোঁজ দ্য সার্চের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আর সেটার খেসারত দিতে হচ্ছে এখন। আমি তার কথার আগামাথা বুঝতে না পেরে ব্যাখ্যা চাইলাম। সে বলল, না, মানে কীভাবে বলি। আপনি বড় ভাই মানুষ। তবু বলি। বিয়ের আগে আমি মেয়েদের আইডি খুঁজতাম। পেয়ে গেলে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতাম। তারপর ভাব জমানোর চেষ্টা। তো মেয়েদের আইডি খুঁজে খুঁজে এই যে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানোর ইতিহাসটা, এই ইতিহাস কীভাবে কীভাবে যেন জেনে ফেলেছে আমার বউ। কীভাবে জেনে ফেলেছে বলতে আমিই একদিন কথায় কথায় বলে ফেলেছিলাম। আর বলেই নিজের সর্বনাশটা নিজে করেছিলাম আরকি। এখন সে শুরু করেছে খোঁজাখুঁজি। কী খোঁজাখুঁজি করে জানেন? আমি কার পোস্টে লাইক দিই। তার এই খোঁজাখুঁজি তথা গোয়েন্দাগিরিতে আমি রীতিমতো আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আমি বললাম, আতংকগ্রস্ত হওয়ার কী আছে? কেন, তুই এখনো মেয়েদের আইডি খুঁজে বেড়াস নাকি? ছোটভাই চোরা হাসি দিয়ে বলল, না, মানে আমার মনটা অনুসন্ধানী মন তো! এই জন্য সুন্দরী মেয়েদের আইডির অনুসন্ধান চালিয়েই যাই। আমিও মনের বিরুদ্ধে যাই না। আমি আর কথা বাড়ালাম না। বিকালের দিকেই আবার দেখা হয়ে গেল তার সঙ্গে। বলল, বাজারে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে আমি এক ধরনের ক্লান্ত হই, আর বউ আরেক ধরনের ক্লান্ত হয়। আমি বললাম, কী রকম? ছোটভাই বলল, আমাকে বলা হয় বড় বড় মাছ আনার জন্য। কিন্তু বাজেটের একটা ব্যাপার তো থাকে। এ জন্য বাজারে গিয়েই আমি শুরু করি খোঁজাখুঁজি। মানে বড় মাছের পরিবর্তে যদি কাঁচকি মাছের ভাগা পাওয়া যায় আরকি। তারপর খুঁজি যুক্তি। কী রকম যুক্তি? কাঁচকি মাছ চোখের জ্যোতির জন্য কতটা ভালো, কী ধরনের বাড়তি ভিটামিন আছে, এসব যুক্তি। যাতে বউয়ের সামনে উপস্থাপন করে তার কথার আক্রমণ থেকে রেহাই পাই। এতে মাঝে মধ্যে কাজ হয়, মাঝে মধ্যে কাজ হয় না। আর ওই যে বললাম বউবাজারে গিয়ে আরেক ধরনের ক্লান্ত হয়? ব্যাপারটা হচ্ছে, সে সপ্তাহে সপ্তাহে শাড়ি কেনে। আর শাড়ি খুঁজতে গিয়ে একটু বেশিই খোঁজাখুঁজি করতে হয় তো! এই জন্য সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আবার নাকফুল, কানফুল এগুলো খোঁজার ঝামেলাও তো একেবারে কম না। এদিকে আমি খোঁজাখুঁজি চালাই আমার মানিব্যাগে। মানে তার শপিং শেষ হলে যে বাসায় ফিরতে হবে, রিকশা ভাড়ার টাকাটা মানিব্যাগে আছে নাকি নেই। অবশ্য বউ একটা কথা কদিন ধরেই বলছে। শপিং শেষে রিকশা ভাড়া আছে নাকি নেই, এ চিন্তা নাকি আর করতে হবে না, যদি একটা কাজ করি। আমি বললাম, কী কাজ? সে বলে কী, একটা গাড়ি কিনে ফেলো। এখন নিউজ হচ্ছে, কথাটা বলার পর সে বসে নেই। খোঁজ দ্য সার্চ শুরু করে দিয়েছে। মানে শোরুমে গিয়ে দৈনিক তিন-চার ঘণ্টা সে গাড়ি খোঁজে। কী একটা অবস্থা! আমি বললাম, তাহলে খোঁজাখুঁজি ভালোভাবেই চলছে? ছোটভাই বলল, ভালোভাবে চলছে মানে কী? সেই রকমভাবে চলছে। বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, বইমেলায় আমি একটা বই প্রকাশ করেও খোঁজাখুঁজির চক্করে পড়ে গেছি। আমি বললাম, এটা আবার কী ধরনের চক্কর? ছোটভাই বলল, না, মানে আমি পাঠক খুঁজি, পাঠকরাও আমাকে খোঁজে। আমি বললাম, পাঠক তোকে খুঁজলে তো এটা খুবই ভালো লক্ষণ। ছোটভাই বলল, এটা ভালো লক্ষণ না ভাই। কোন পাঠক আমাকে খোঁজে জানেন? যাদের জোর করে, ক্ষেত্রবিশেষে চাপা মেরে বই গছিয়ে দিয়েছিলাম। তারা আমাকে খোঁজে বই ফেরত দিয়ে টাকা নেওয়ার জন্য।
শিরোনাম
- অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
- ‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
- ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
- সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
- আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
- শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- ১৬ বছরে শিক্ষা খাতকেও দলীয়করণ করা হয়েছে: খোকন
- বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা
- প্রথমে স্থানীয়, পরে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
- স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
- শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
- আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
- আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
- বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
- যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
- গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
- গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন
- এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
প্রকাশ:
০০:০০, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
আপডেট:
০০:২০, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
/
রকমারি
খোঁজ দ্য সার্চ
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর