র্যাগিং এর নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য ভর্তি হওয়া এক ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার দিক বেগম খালেদা জিয়া হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নুপুর (ছদ্বনাম) নামের ওই ছাত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, 'অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে। রিসিভ হতেই অন্য সাইড থেকে বলা হয় আমি তোর বিভাগের বড় ভাই বলছি। তুই সাদ্দাম হোসেন হলের সামনে আয়। তোর সাথে কথা আছে। আমি আসতে অস্বীকৃতি জানালে তারা খালেদা জিয়া হলের সামনে এসে আমাকে আবারো কয়েকটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে হলের সামনে আসতে বলে। এসময় আমি আমার বান্ধবীদের সাথে আনতে চাইলে আমাকে একা আসতে বলে। আমি হলের সামনে আসলে আমার বিভাগের ৪-৫ জন বড় ভাই আমাকে ঘিরে ধরে। এরপর তারা আমাকে বলে তুইতো খুবই ফেমাস হয়ে গেছিস। এছাড়া তারা বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করে আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আমার ছবি তোলার চেষ্টা করে।'
নুপুর জানান এ ঘটনার পর তার পরিচিত দুই বড় ভাই গিয়ে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হলে পৌঁছে দেয়। তারা জানান ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিসালাত হাসান মেরিন (২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ) ও জাকির হোসেন প্রামানিকসহ (১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) কয়েক ছাত্র একই বিভাগের ওই ছাত্রীকে র্যাগিং এর নামে নির্যাতন করে।
নির্যাতিত ছাত্রী আরো জানান, গত ৩০ জানুয়ারি বিভাগের নবীন বরন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের পর তারা আমাকে একা ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করে। পরে আবারো আমাকে ফোন দিয়ে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে এবং অশালীন কথা বলে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকিও দেয় তারা।
এবিষয়ে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা র্যাগ দেয়, ছাত্রী উত্যক্ত করে, তারা ছাত্রলীগের কেউ না। ছাত্রলীগ ক্যম্পাসকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং ছাত্রলীগের নেমপ্লেট ব্যবহার করে কেউ শৃংখলা ভঙ্গ করলে ছাত্রলীগ তার দায়ভার নেবে না।
এ ব্যাপারে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মানজারুল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/০৩ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল