রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পলাশ, সুজন ও সাইফুল নামের তিন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়েছে স্থানীয় যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এসময় তারা প্রতিবাদ করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন তারা। সোমবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকায় এ ঘটনার ঘটে।
এর কিছুক্ষণ পর রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল রানাকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে স্থানীয় বখাটেরা। মারধরকারীদের নাম শনাক্ত করা যায়নি। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে দিন-ভর আন্দোলনমুখর ছিলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, পলাশ ও সুজন রাত ৯টার দিকে মির্জাপুর থেকে বিনোদপুরে আসছিলেন। এসময় নেশাগ্রস্ত স্থানীয় যুবলীগের কার্যালয় থেকে কয়েকজন নেতা-কর্মী বের হয়। বের হয়ে কোনো কারণ ছাড়াই তারা বেধড়ক চড়-থাপ্পর ও কিল-ঘুষি দেয়া শুরু করে। এরপর তাদের উদ্ধার করতে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানে গেলে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা কেড়ে নিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
রাত ১০টার দিকে বিনোদপুর থেকে ক্যাম্পাসের ফেরার সময় রানার ওপর ধারালো অস্ত্রসহ আকস্মিকভাবে হামলা করে স্থানীয় এক যুবক। রানার মাথায় আঘাত করে মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় ওই যুবক। গুরুতর আহত রানা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তারা সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রভবন অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
বিডি প্রতিদিন/১৪ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা