রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক শিবির নেতাকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রশিবির। অন্যদিকে শিবিরকে পাল্টা জবাব দিতে ক্যাম্পাসে অস্ত্র নিয়ে শোডাউন করেছে ছাত্রলীগ। আজ দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ ও শিবিরের এমন কর্মকাণ্ডে ক্যাম্পাস জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব বলেন, রাবি ক্যাম্পাসে শিবিরের কোনো স্থান নেই। তাদের প্রতিহত করতে আমরা সদা প্রস্তুত। কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে শিবিরকে অবস্থান নিতে দেয়া হবে না।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে শহীদ সোহরাওর্য়াদী হল শাখা শিবিরের সেক্রেটারী আরিফুর রহমান পাঁচ ছয় জন নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরি করছিল। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আরিফকে সন্দেহ করে। পরে আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বঙ্গবন্ধু হলে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে আরিফ শিবিরের শহীদ সোহরাওর্য়াদী হল শিবিরের সেক্রেটারী বলে জানায়। সেখান থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
এঘটনার পরপরই বিনোদপুরের মন্ডলের মোড়ে মিছিল করে শিবিরের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। শিবিরকে পাল্টা জবাব দিতে এরপরেই ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, রামদা, কিরিচ, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে শোডাউন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ক্যাম্পাস জুড়ে এখন থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। বিষয়টি শুনেছি। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, এরআগেও হল থেকে আরিফকে পুলিশে দেয়া হয়েছিল। শিবির নেতাকে পুলিশে দেয়ার পরই শিবির মিছিল ও ককটেল চার্জ করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থান নেয়।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, আরিফুর রহমান নামের শিবিরের একজনকে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ। এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার