বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান ড. নজরুল ইসলামের ভাবমূর্তি ও সুনাম বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় কয়েক জন ভূয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাও দেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু ‘বি’ ইউনিটের ৪র্থ শিফটের পরীক্ষায় ব্যবসায় প্রশাসন গ্রুপে প্রক্সি দিয়ে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীর বক্তব্যের অডিও রেকর্ড করার মাধ্যমে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ নজরুল ইসলামের নাম জড়ানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। ওই ঘটনার প্রথম থেকেই একটি মহল অডিও রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরবরাহ করে ড. নজরুলকে সামাজিকভাবে হেয় করাসহ ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিজের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিকার চেয়ে এ ব্যাপারে গত ২৬ ডিসেম্বর’১৭ তারিখে রংপুর কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন ড. নজরুল ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, জালিয়াতি করা শিক্ষার্থী ধরা পড়ার পর থেকেই তার কাছ থেকে তথ্য নেয়ার অজুহাতে বারবার ড. নজরুলকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা ওই অডিও রেকর্ডগুলো শুনলেই বোঝা যায়। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বেশ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মাস্টাররোল কর্মচারীকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হলে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ড. নজরুল কোনোভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, যা আমরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেনেছি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তথ্যানুসন্ধান কমিটি করে দিয়েছে আসল ঘটনা উম্মোচনের জন্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, যখন বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার যে, ড. নজরুল কোনোভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নন কিংবা তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে তারপরেও একটি মহল বার বার তাকে সামাজিকভাবে হেয় করে চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এসব ঘটনার প্রতিবাদ করে এসব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারকারীদের বিচারের দাবিতে গত ১ জানুয়ারি মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন