কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হলের বাহিরে একাডেমিক ভবনে স্থাপনের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি দিতে এসে তিনি মারধরের শিকার হন।
এ ব্যাপারে সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক নূরুল হক নূর জানান, ‘আমাদের সোমবার ১২টার স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। মামুন ভাই আগেই ক্যাম্পাসে এসে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিল। এর মধ্যে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাইসুল আলমের নেতৃত্বে ২০/২৫ এসে তাকে কিল-ঘুষি মারে এবং মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় তিনি মেরুদণ্ড আঘাত পেয়েছে।’
অভিযুক্ত রাইসুল ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী বলে জানা গেছে। তবে মারধরে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন রাইসুল আলম। তিনি বলেন, আমি সেসময় মধুর ক্যান্টিনে ছিলাম। আমার এই ঘটনার সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
ঘটনার বিষয়ে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ছাত্রলীগের কেউ এর সাথে জড়িত নয়। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ঝামেলা হতে পারে, তবে আমরা খতিয়ে দেখছি। দোষারোপ করার কালচার থেকে আমাদের বের হয়ে আসা উচিত।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা এই ঘটনা খতিয়ে দেখবো কে মারল, কেন মারল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন