ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে স্বাভাবিকতা ফিরে আসছে। গত ৫ আগস্ট ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে যা সারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমও এ নিয়ে খবর প্রকাশ করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যে কোনো ধরনের কার্যক্রম রুখে দিতে কাশ্মীর উপত্যকায় আইনশৃঙ্খরাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
কাশ্মীরের ওপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা ও পদক্ষেপ শিথিল করা হয়েছে। তবে এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছে সেনারা। তিন মাসের খাদ্য মজুদ রাখা হয়েছে। ১৬ আগস্ট থেকে বিধিনেষেধ উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে। ৪০ লাখ ব্যবহারকারীদের জন্য ১৪ অক্টোবর পোস্ট পেইড মোবাইল সার্ভিস পুনস্থাপন করা হয়েছে। এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার ল্যান্ডলাইনের কার্যক্রম সচল করা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২৪*৭ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এরমধ্যেই বিদ্বেষপূর্ণ খবর প্রচারিত হয়েছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরে ওষুধের ঘাটতি রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের ৯২ ভাগ এলাকায় কোনো বিধিনিষেধ নেই। ১৯৯ থানার মধ্যে মাত্র ১১ থানায় দিনের বেলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে সরকারি কার্যালয় ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। সহিংসতা উসকে দিতে সন্ত্রাসীরা গুজব ছড়াতে পারে এমন আশঙ্কায় শুধু ইন্টারনেট সেবা এখনো চালু করা হয়নি। পুরো অঞ্চলে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে ভারত সরকার।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা