সাদার উপরে কালো অক্ষরে লিখা 'সিউ এলাইমনাই এসোসিয়েশন রিইউনিয়ন'। তার পাশেই ভাঁজ করে রাখা তিনটি ডায়েরি। যেখানে লিখা হবে সব স্মৃতি। উপরের ডায়রিতে রাখা আছে ভালবাসার প্রতীক ফুল। যেখান থেকে সাবেকদের মাঝে ছড়াবে ভালবাসা। ডায়েরির পাশে একটি কালো টুপি। তার উপর সুতায় মোড়ানো সনদপত্র। সবকিছু দেখে যে কেউই মনে করবে এটি সিমেন্ট বালির কারসাজি। কিন্তু না। এটি হরেক রকমের স্বাদের উপাদান দিয়ে তৈরী কেক।
কেকটি তৈরী করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাইমনাই এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের জন্য। তবে দেখে মনে হবে এটি কেক নয়, যেন স্মৃতির ডায়রি। কেকটি ১১ কেজি ওজনের। তৈরী করতে সময় লেগেছে দুই দিন। খরচ হয়েছে ৩২ হাজার টাকা। তাতে কি? হাজার হাজার সাবেকদের জন্য এ উপহারটাই যেন তার সব স্বার্থকতা।
কেকটি তৈরিকারীর নাম সাকিয়া সোলতানা। পড়তেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ছাত্রজীবন থেকেই ইচ্ছে নতুন কিছু করার, নতুন নতুন ধারণার জম্ম দেয়া। নতুন কিছু তৈরী করে যেন আজ সে সফল। কেক তৈরীর দারুণ এক শিল্পী তিনি। নিয়েছেন দেশবিদেশের বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ।
এলামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী উপলক্ষে এই স্পেশাল কেকটি তৈরী করেন তিনি। কেক নিয়ে বিভিন্ন কোর্স করেছেন টানা দুই বছর। তিনি মালয়েশিয়া থেকে উইলটন কোর্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি রোসালিং চেন্ কানাডিয়ান, সেরেন উই অস্ট্রেলিয়ান এবং কার্লপুজ ইউরো ফ্রান্সের আর্টিস্ট ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন।
২০১৭ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয় সাকিয়ার। সপ্তাহে ৩-৪ টি কেকের অর্ডার পান সাকিয়া। এতে তার মাসিক আয় হয় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। যে কেকগুলো তিনি তৈরী করেন সেগুলোর বেশির ভাগ উপাদানই আসে দেশের বাহির থেকে। এদিন কয়েকটি বইয়ের সাথে একটি হ্যাটের চিত্রে অসাধারণ কারুকার্যে তৈরী করা হয়েছে কেকটি। সাকিয়া বলেন, পুনর্মিলনী উপলক্ষে সবাই যখন অবদান রাখছে, তখন আমি ভিন্ন কিছু করার চিন্তা থেকেই এই কেক তৈরি করি।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ