বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দু’টি হলে র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অপরাধে নয় শিক্ষার্থীকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে আরও ১৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে হল থেকে বহিষ্কার ও চারজনকে সতর্ক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক ও বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মিজানুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
হল থেকে আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, সব্যসাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিড়ী, প্লাবন চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, অর্ণব চৌধুরী, মো. ফরহাদ হোসেন, মো. মোবাশ্বের হোসেন শান্ত, এএসএম মাহাদী হাসান, আকিব হাসান রাফিন। এই নয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, তিতুমীর হলে র্যাগিংয়ে জড়িত আরও কিছু নতুন শিক্ষার্থীর নাম তদন্ত কমিটির কাছে এসেছে। আরও তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
র্যাগিংয়ের বন্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েটের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিলো ।
এর আগে, আবরার ফাহাদ হত্যার পর কয়েক দফায় শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসে শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত ০২ নভেম্বর বুয়েটের উপাচার্য, ডিএসডব্লিউ ও ডিনদের সাথে বৈঠকে তিন দফা দাবি জানায় তারা।
দাবিগুলো হলো, হত্যা মামলার চার্জশিটের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা; আহসান উল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলের র্যাগের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া এবং সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি ও র্যাগের জন্য শাস্তির নীতিমালা করে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট থেকে অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত করা প্রভৃতি। এসব দাবি পূরণ হওয়া সাপেক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা বলেন তারা।
এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রথম দু’টি দাবি পূরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় দাবিটির বিষয়ে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে বুয়েট প্রশাসন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন