নেত্রকোনার বহুল প্রত্যাশিত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেহাবি) দ্বিতীয় বছরেই আধিপত্যের হলভিত্তিক রাজনীতির আবির্ভাব ঘটছে। ছোট ভাই বড় ভাই দ্বন্দ্বে রবিবার রাতে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জেলা ও পুলিশ প্রশাসেনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সাময়িকভাবে সুরাহা করেছে।
দেশের বৃহত্তর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে পরিসরের দিক দিয়ে দ্বিতীয়তম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্নেই রাজনৈতিক মনোভাব প্রকাশ করে এমন অধিপত্যজনিত বিশৃঙ্খলায় নেত্রকোনার সচেতন মহলে কিছুটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটিয়ে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রেখে একটি অরাজনৈতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার দাবি জানান সুজনের সভাপতি প্রেসক্লাব সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল। তিনি বলেন, এখনো অবকাঠামোই গড়ে তোলা হয়নি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রভাব বিস্তার অনাকাঙ্খিত।
পৌর শহরের রাজুরবাজার এলাকায় মোহনগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) ২০১৯ সাল থেকে অস্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে শেহাবি। প্রথম বছর তিনটি বিভাগে ৯০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও চলতি বছর ২০২০ শিক্ষাবর্ষে নতুন করে কম্পিউটার সায়েন্সসহ মোট ১২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। প্রথম থেকেই প্রায় সকলে হলে স্থান পান। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দেশের প্রায় সব জেলার শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় প্রথম বর্ষের ছাত্র অনিকের সামনে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী সাকিব পায়ের ওপর পা রেখে ধূমপান করলে অনিক তাকে সিনিয়র জুনিয়রের বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দেন। সেই সাথে হলে আসার কথা বলেন। পরেবর্তীতে সাকিব বিষয়টি অন্যভাবে স্থানীয় শিশিরসহ কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে জানালে তারা গিয়ে অনিককে হলে খোঁজাখুঁজি করে ক্যাম্পাসের সামনেই চায়ের স্টলে পেয়ে যায়। এসময় অনিকের সাথে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে হলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে বহিরাগতরা পালিয়ে যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা একজনকে আটক করে রাখার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে পুলিশ যায়।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম জানান, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই আমরা তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। তবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটানোর জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রফিকুল্লাহ খান জানান, আমি রাতেই বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। আমি তো এখনো আছি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম