সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ গবেষণা বিশ্লেষণ অনুযায়ী ২০১৯ সালে স্বনামধন্য গবেষণাপত্রে স্কোপাস ইনডেক্স জার্নালে প্রকাশিত ব্যক্তিগত গবেষণা সংখ্যার ভিত্তিতে দেশসেরা হয়েছেন (১ম) মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাউছার আহমেদ। ৩৯টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়া ৩১টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে চতুর্থ (৪র্থ) অবস্থান করেছেন একই বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বিকাশ কুমার পাল। তিনি বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির সিনিয়র প্রভাষক হিসেবে রয়েছেন।
২০১৮ সালেও ৩৬টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে কাউছার আহমেদ বাংলাদেশে দ্বিতীয় (২য়) স্থান এবং বিকাশ কুমার পাল ২২টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে ১৩তম অবস্থান করেছিলেন।
এছাড়া ২০১৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম ১৫ জনের ৩ জন স্থান করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপক কাউছার আহমেদ ৪র্থ, সহকারী অধ্যাপক আলী নেওয়াজ বাহার ৮ম এবং ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ আসাদুজ্জামান আসাদ ১৩তম অবস্থান করেছিলেন।
কাউছার আহমেদের স্কোপাস ছাড়াও আইএসআই ইনডেক্স জার্নালে অসংখ্য গবেষণাপত্র রয়েছে। তিনি আলোতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করছেন। তার গবেষণার অন্যতম বিষয় অপটিক্যাল ফাইবার, ফাইবার সেন্সর, বায়োইনফরমেটিক্স ও ডাটা মাইনিং। তিনি গ্রুপ অব বায়োফটোমেটিক্স নামে একটি রিসার্স গ্রুপ পরিচালনা করেন। যার সাথে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষকগণ সংযুক্ত রয়েছেন। এই রিসার্স গ্রুপের মাধ্যমে তারা তাদের গবেষণার কাজ সম্পাদন করে থাকেন। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর ৬ বছর শিক্ষকতা জীবনে প্রকাশিত গবেষণাপত্র ১৭৫টি যার আর.জি-৩২.৩৮ এবং যার সাইটেশন ১৪৩০টি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম