চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২য় বর্ষের পরীক্ষায় একটি কোর্সের পরীক্ষায় প্রশ্নে সিলেবাস অনুসরণ না করার অভিযোগ উঠেছে। সে পরীক্ষায় সিলেবাসে এক রকম-প্রশ্নপত্রে অন্যরকম হওয়ার বিষয়ে অবাক হয়েছেন স্বয়ং বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকরা।
গত ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিভাগের ২০৫ নম্বর কোর্সের পরীক্ষায় এ অসঙ্গতি ধরা পড়ে।
জানা যায়, সিলেবাসে ৮টি প্রশ্নের মধ্যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কথা বলা আছে। সেখানে প্রতিটি প্রশ্নে ১০ নম্বর করে ধরা হয়েছে। তবে প্রশ্নপত্রে ৭টি প্রশ্ন করা হয়েছে। যেখানে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্নে ১২.৫ নম্বর করে ধরা হয়েছে। আগের সিলেবাস অনুযায়ী ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো শিক্ষার্থীদের।
পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ও কোর্স শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া বলেন, সিলেবাসের কোনো কন্টেন্ট পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে ৪টি প্রশ্নের জায়গায় ৫টি প্রশ্ন সিলেবাসে কখন যুক্ত করা হয়েছে সেটা আমারও প্রশ্ন। এটা যেহেতু আমার কোর্স, সেহেতু যদি সিলেবাস পরিবর্তন হতো তাহলে আমি তো জানার কথা। হতে পারে সিলেবাস যে প্রিন্ট করেছে সে অন্য কোর্সের প্রশ্নের পেটার্নের সাথে এটা মিলিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, এতে করে শিক্ষার্থীদের বরং লাভ হয়েছে। কারণ তিন ঘণ্টার পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য ৫টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন। সে হিসেবে ৭টা প্রশ্নের মধ্যে ৪টা উত্তর দেয়া সহজ।
শিক্ষার্থীরা কোনো অভিযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন ২০৩ নম্বর রুমে একজন শিক্ষার্থী বিষয়টি জিজ্ঞেস করেছিল। আমি তখনি সিলেবাস চেক করে জানতে পেরেছি ৫টি প্রশ্ন লেখার বিষয়ে বলা আছে। তবে সিলেবাসে এ পরিবর্তনটা হয়তো ভুলেই হয়েছে।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নেয়া একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, এতে আমাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কারণ প্রশ্ন আগের মতই হয়েছে। কিন্তু এটা যদি সিলেবাসের ভুল হয়ে থাকে। আর সেটা যদি প্রশ্ন করার আগ পর্যন্ত কোর্স টিচারের অজানা থাকে। তাহলে এটাকে পরীক্ষা কমিটির ভুল বলতেই হবে। তাছাড়া বছরের শুরু থেকেই তো সিলেবাস অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা পড়ে আসছে এবং শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন। তাহলে প্রশ্ন হয়ে যাওয়ার পর তিনি যদি বলেন, আমার জানা ছিলো না। সেটা নিয়ে আরও বেশি প্রশ্ন উঠবে।
এ বিষয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগম বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। একাডেমিক কমিটির জরুরি মিটিংও হয়েছে। বিষয়টা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর জানানো হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন। আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন