মাইক্রোবাসের সাথে মোটরসাইকেলের মৃদু সংঘর্ষের জেরে মাইক্রো চালক ও তার সহযোগীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এনে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।
সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার দুপুরে ধানমন্ডি এলাকায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় ওই ছাত্রলীগ নেতার মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাসের হালকা সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে যায় এবং ছাত্রলীগ নেতার হাত কেটে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মাইক্রোবাস চালক মোস্তফা ও তার সহযোগী শাকিলকে গাড়িসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীম উদ্দীন হলে নিয়ে আসে ওই ছাত্রলীগ নেতা। পরে ড্রাইভারকে দিয়ে গাড়ির মালিক হাসানোর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সে। হাসান টাকা ছাড়াই গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে আসলে তাকেও মারধর করা হয়।
পরে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে প্রক্টরিয়াল টিম এসে তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষে সমঝোতা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাইক্রো মালিক হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ফোন পেয়ে এখানে আসলে আমাকেও মারধর করেছে। তারা পাঁচ লাখ টাকা চায়’।
তবে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। তিনি বলেন, ‘এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি’। তাহলে মারধরের কারণ কী- জানতে চাইলে বলেন, আমাদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে। আমরা কাউকে মারিনি।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার কামাল উদ্দীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রক্টরিয়াল টিম গাড়িসহ থানায় নিয়ে আসছিল। তাদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় ছেড়ে দিয়েছি। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই’।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন