মোমবাতি প্রজ্বলন ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনের শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে সংগঠনটি। এর আগে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কাজ মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
সভায় এ কে আজাদ বলেন, দেশের বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য, রাজাকার-আল বদররা যে নীল নকশা করেছিলো, তার একটাই উদ্দেশ্য ছিলো- জাতিকে মেধাশূন্য করা। সেই লক্ষ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্র ও শিক্ষককে ১৪ ডিসেম্বর রাতে হত্যা করা হয়। ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা নির্বিচারে নারী-পুরুষদের হত্যা করেছে। তারা কিন্তু আজও সক্রিয়। কয়েকদিন আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে এবং ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই দেশের সকল বুদ্ধিজীবীদের এ বিষয়ে সজাগ থেকে এর প্রতিবাদ করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের দাবিও জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের পরিবারের সদস্যরা কী অবস্থায় আছেন- তা জানা গেলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রস্তাবনার ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন