চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে তৈরি করা ব্যানারে শহীদ মিনারের ছবি ছাপার পর বিতর্ক যেন থামছেই না। এ ঘটনায় কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই এক কর্মকর্তাকে বদলি করেছে প্রশাসন। কিন্তু বিজয় দিবস উদযাপন কমিটিতে ওই কর্মকর্তার নামই উল্লেখ নেই।
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার ব্যানারে শহীদ মিনারের ছবি ছাপা হয়। ওই ব্যানার নিয়ে ফটোসেশনও করেন উপাচার্যসহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
পরদিন ১৭ ডিসেম্বর উপাচার্যের এক আদেশে উপাচার্য দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমকে পরিষদ দপ্তরে বদলি করা হয়। কিন্তু এর আগে গঠিত উদযাপন কমিটিতে ওই কর্মকর্তার নাম নেই।
গত ৮ ডিসেম্বর উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আতিকুর রহমানকে আহ্বায়ক ও তথ্য শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার দিবাকর বড়ুয়াকে সদস্য সচিব করে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি’ গঠন করার কথা উল্লেখ করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এমদাদুল হক ও এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক এসএম খসরুল আলম কুদ্দুসী।
কিন্তু গত ১৬ ডিসেম্বর ব্যানার নিয়ে বিতর্ক উঠলে তার দায় চাপানো হয় উপাচার্য দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমের উপর। পরদিনই এক আকস্মিক আদেশে তাকে বদলি করা হয়।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নানান গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মতে, ওই ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে সরিয়ে দিতেই এই কাজটি করা হয়েছে। কেননা কমিটিকে জবাবদিহিতার আওতায় না এনে তৃতীয় পক্ষকে মাঝখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যানারটি বদলাতে বেশি সময় লাগত না। কিন্তু সেটি করা হয়নি। ওই ডেপুটি রেজিস্ট্রার না হয় ভুল করলেন, কিন্তু এটি কি কারোরই দৃষ্টিগোচর হয়নি? উদযাপন কমিটির কাজ কি তাহলে শুধুই উদযাপন করা? তাইলে আয়োজন করবে কারা?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জাহাঙ্গীর সাহেব নিজেই এ কাজটি করেছেন। এখানে কমিটির কোন সম্পৃক্ততা নেই।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন