রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ প্রশাসনের অবিলম্বে অপসারণের দাবী জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকবৃন্দ।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা কালো পতাকা হাতে অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ প্রশাসনকে বিদায় জানাতেই কালো কাপড় হাতে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম টিপু।
মানববন্ধনে অধ্যাপক টিপু বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১০ এবং ১৩ ডিসেম্বর ১২টি পত্রের মাধ্যমে রাবি উপাচার্যকে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে রাবিতে সকল প্রকার নিয়োগ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য জোরপূর্বক একটি বাড়ি দখল রাখার জন্য ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৬০০ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দিতে বলা হয়েছে। সে হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপাচার্যের নৈতিক স্খলন ঘটেছে।
ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পদে অধিষ্ঠিত থাকার তাঁর নৈতিক অধিকার নেই। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিষ্ট্রারের (ভারপ্রাপ্ত) অসদাচরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট করে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তিনি (উপাচার্য) সকল নির্দেশগুলো অমান্য করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করার মতো ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন।’
অধ্যাপক টিপু আরও বলেন, ‘মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত না হতে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদদে কিছু শিক্ষক সুপরিকল্পিতভাবে বাঁধা প্রদান করছে।’ এসময় তিনি রাবি শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে প্রশাসনের প্রতি তীব্র নিন্দা ও দ্রুত সময়ে ‘দুর্নীতিগ্রস্থ’ প্রশাসনকে অপসারণের দাবি জানান।
পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে কেউ কোনও প্রকার বাধা দিলে আমরা লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দিবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্নীতিবাজ’ প্রশাসনের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। পাশাপাশি আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিজ্ঞ আইনজীবীদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো।’
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের প্রায় ৭০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর