বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়ায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সেই দুই শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারী) সন্ধ্যা সাতটা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। এসময় আন্দোলনরতদের সাথে একাত্বতা জানিয়ে সেখানে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত রবিবার (১৭ জানুয়ারী) সন্ধ্যা থেকে একই স্থানে টানা ৪৮ ঘন্টার আমরণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ওই দুই শিক্ষার্থী। ওই দুই শিক্ষার্থীরা হলেন- বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলাম।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে দুইজন অধ্যাপকের পথ আটকানো ও গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। তবে ওই দুই শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষার্থীদের পাঁচদফা আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে তাদেরকে অন্যায্যভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা বলেন, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচিতে একাত্বতা জানিয়ে অনশনস্থলে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ। তারা বলেন, পাঁচ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে যুক্ত থাকায় তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ দাবি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি। ফলে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে সকলকে একত্রিত করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল বেতন কমানো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবকাঠামো নির্মাণ ও ছাত্রবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এসব দাবির বিষয়ে কোনো সমাধান না পেয়ে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। তবে এসময় ১৬ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে আন্দোলন চলাকালে দুই অধ্যাপকের পথ আটকানোর অভিযোগ ওঠে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ