বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ ১৬ জন বিশিষ্টদাতাকে সম্মাননা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগ। বিভাগের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিভিন্ন উদ্যোগে সহযোগিতা রাখায় তাদের এই সম্মাননা জানানো হয়।
মঙ্গলবার বিভাগের সেমিনার কক্ষে একটি অফিস ও দু’টি শ্রেণিকক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সম্মাননার ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সাকিব আল হাসানের পক্ষে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন সমবায় অধিদফতরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আবুল খায়ের হিরু। নিজের প্রতিষ্ঠান ব্রোকার হাউজ ‘মোনার্ক হোল্ডিং লিমিটেডে’র মাধ্যমে বিভাগের সৌন্দর্য্যবর্ধনে সহযোগিতা করেছেন সাকিব।
সম্মাননা পাওয়া অন্যরা হলেন- মার্কেটিং এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড.মীজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ তালুকদার, আবুল খায়ের হিরু, টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পিএন কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার সাহা, তারা স্পিনিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদেকুর রহমান মনির, ন্যাশনাল এসেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুমায়ুন বখতিয়ার, ন্যাশনাল এসেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান দেওয়ান নুরুল ইসলাম, বোরাক সি ফুড ট্রেড ইন্টারনেশনালের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহজাহান, ফারডেকোরের সিও ফারজানা আক্তার, সাবেক শিক্ষার্থী বিকাশ চন্দ্র সাহা, আলতাফ হোসাইন, ওবায়দুল্লাহ হিল মোমেন, মনজুরুল হাই ও আলী ইসরাফিল প্রমুখ।
পরে বিভাগের একটি অফিস এবং দুটি শ্রেণিকক্ষের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন, মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, মার্কেটিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ তালুকদারসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও সম্মাননাপ্রাপ্তরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করার জন্য শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে এসব কালচার বেশি দিনের নয়। সমাজের যারা প্রতিষ্ঠিত তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এসব সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রসর হবে। সর্বোপরি এ দেশ এবং জাতি অগ্রসর হবে।
দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের শুভানুধ্যায়ীরা সহযোগিতা করছে বলেই আমরা কাজগুলো করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে সকল কার্যক্রমে বিভাগের অ্যালামনাইসহ বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম