দেড় যুগ আগে যারা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছিল, তারাই দেড় যুগ পেরিয়ে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবারও প্রাণে প্রাণ মিলিয়েছে চিরচেনা ক্যাম্পাসে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে লুব্ধক-৬৩ ব্যাচের কৃষিবিদরা সকালে তাদের পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ অনুষ্ঠান ছড়িয়ে পড়ে ক্যম্পাসজুড়ে।
লুব্ধকের সবাই মিলিত হয়েছিল তাদের স্ব-স্ব পরিবার নিয়ে। তাদের সন্তানরা ঘুরে দেখেছেন ঢাকার বুকে ফসলি মাঠের ক্যাম্পাস, সবুজ অরণ্যে ঘেরা আধুনিক গ্রাম শেকৃবিকে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাসেরর সভাপতিত্বে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি শেকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘মনে পড়ে যায় তোমাদের কাছে যেতাম, কখনো গালমন্দও করতাম, তোমাদের ভালোর জন্যেই করতাম। তোমাদের মনে রাখতে হবে এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। স্বাধীনতাপূর্ব কিংবা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কৃষিসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তো অবশ্যই অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে দখল আছে এই প্রতিষ্ঠানের কৃষিবিদরা। তোমাদের চেহারায় এখনো তারুণ্যের যে দ্যুতি তা দিয়ে তোমরাও দেশ-বিদেশে সর্বোচ্চ আসনগুলো দখল করে নেবে প্রত্যাশা রাখি।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই