কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২’ উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ দুই জন এবং সংগঠন পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন একসাথে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। শহীদ মিনারে আগতদের বাধ্যতামূলক করোনা টিকা সনদ সাথে রাখতে হবে ও মাস্ক পরিধান করতে হবে।
অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষ্যে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলসমূহের প্রভোস্ট, বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে মহান ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায়, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইন অনুষদের ডিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সমন্বয়কারী, সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়াকে যুগ্ম-সমন্বয়কারী এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে সদস্য-সচিব করে অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন উপ-কমিটিও গঠন করা হয়।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে। তিনি আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত বছরের ন্যায় এ বছরও জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচি সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর বিগত বছরেও সীমিত পরিসরে একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন