চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন চবি বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
মুখ্য আলোচক হিসেবে ড. মুনতাসির মামুন তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ আন্দোলন একসাথে বিকশিত হয়েছে। তৎকালীন শাসকের ভয় ছিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও যদি আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয় তাহলে রাজনীতি শাসকদের নিয়ন্ত্রণে আর থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সব দলমতের মানুষ আসবে এবং যুক্তির মাধ্যমে নিজেকে বিকশিত করবে। বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন মতকে আহ্বান করে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলে সেটি আর বিশ্ববিদ্যালয় থাকে না। এটি বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন। তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন দেন। দেওয়ার পরপর তিনি অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে বলেন, স্যারশ স্বায়ত্তশাসন তো দিলাম, আপনারা কি রক্ষা করতে পারবেন? আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পঞ্চাশ বছর যুক্ত। আমি ভেতর থেকেই বলতে চাই আমরা তা রক্ষা করতে পারিনি।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছে আদর্শ স্থাপন করার জন্য। এই আদর্শ নিয়ে অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো চলবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহসের সাথে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ থাকবে কিন্তু সর্ব পর্যায়ের নির্বাচন বন্ধ করা উচিৎ। কারণ, একজন ডিন যখন নির্বাচনে দাঁড়ান তখন তিনি নবনিযুক্ত একজন লেকচারের কাছে ভোট চাইতে হয়। মিনতি করতে হয় যে, আমাকে ভোট দেন। পরবর্তীতে এই লেকচারার এই ডিনকে আর সেভাবে মানতে চান না। সিনিয়র জুনিয়র শিক্ষকদের যে একটা অদৃশ্য হায়ারার্কি থাকে তা হারিয়ে যায়। তাই আগের প্রথা যা সিনিয়রিটির দ্বারা করা হতো সেটিই ভালো এবং প্রয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল