আপত্তিকর অডিও ফাঁসের ঘটনায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের বিচার দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দীন তারেককে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গেটে তালা দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীকে অবরুদ্ধ করে রাখার আগে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে তার অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সাবেক প্রধান প্রকৌশলী) আলিমুজ্জামান টুটুলের সঙ্গে অজ্ঞাত এক ছাত্রীর আপত্তিকর ফোনালাপের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। এ ঘটনার বিচার দাবিতে শনিবার বেলা ১০টার দিকে প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলতে যান ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী। বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে অফিস ভাঙচুর করেন তারা।
এতে অফিসের আলমারির কাঁচ ভেঙে যায়। এরপর প্রকৌশল অফিসের প্রধান ফটকে তালা দিলে প্রধান প্রকৌশলী প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অফিসের তালা খুলে দেন তারা। পরে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের নামে ৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের আপত্তিকর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের বিব্রত করেছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট করেছে। এর আগেও ২০১৩ সালে কুষ্টিয়ার এক শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের গোপন ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হলে গ্রেফতার এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত এই টুটুলের স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন তারেক বলেন, ‘তারা আমার অফিসের দরজায় লাথি দিয়েছে এবং শোকেসের কাঁচ ভাঙচুর করেছে। আমি চাই প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী যে কাজটি করেছে, তা গ্রহণযোগ্য না। তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই