জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের নারী শহীদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৈত্রী ডিবেটিং ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। "২য় মৈত্রী শহীদ নাফিসা স্মৃতি বিতর্ক"। দুই দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতাটির চূড়ান্ত দিনে শহীদুল্লাহ্ হল ডিবেটিং ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিবেটিং প্ল্যাটফর্ম (বিএনডিপি)।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন সমাপনী বিতর্ক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মাহবুবা সুলতানা, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অর্পিতা গোলদার, সাধারণ সম্পাদক আদনান মুস্তারি, মৈত্রী ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, সাধারণ সম্পাদক আলেয়া সুলতানা তরু।
এর আগে “বিশ্বদাহন তেজে জাগো দাহিকা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল প্রাঙ্গণে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা।
২৪ জানুয়ারি ও ২৫ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ের এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলসহ সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮টি দলের অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি দলে ৩ জন করে বিতার্কিক যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন। বাংলা ভাষায় এশিয়ান সংসদীয় ফরম্যাটে বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। ৭টি ভেন্যুতে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ভেন্যুগুলোর নামকরণ করা হয় জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের নারী শহীদদের নামে। শহীদ নাঈমা সুলতানা, শহীদ সুমাইয়া আক্তার, শহীদ রিয়া গোপ, শহীদ নাসিমা আক্তার, শহীদ নাফিসা হোসেন মারওয়া, শহীদ মোসাম্মত রিতা আক্তার, শহীদ মিস লিজা, শহীদ মেহেরুন নেসা তানহা প্রমুখের নামে ৭টি ভেন্যুর নামকরণ করেন আয়োজকরা।
আয়োজকরা জানান, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ নাফিসাসহ আরও অনেক নারী শহীদের দ্রোহের চেতনাকে ধারণ করে মৈত্রী ডিবেটিং ক্লাব এ আয়োজন করেছে। উৎসব কেবল যুক্তির মঞ্চ নয়; এটি আমাদের নারী শহীদদের স্মরণে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
মৈত্রী ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি রাফিয়া রেহনুমা হৃদি জানান, এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রজন্মের তার্কিকদের মাধ্যমে শহীদদের ত্যাগের গল্প ছড়িয়ে দেওয়া এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অভিজ্ঞতা সবার মাঝে পৌঁছে দেওয়া।
উল্লেখ্য, দুইদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও যমুনা টেলিভিশন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত