জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে ৩৫ সদস্যের একটি ছায়া তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহমেদ রিফাত।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১২৮ জনকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে ৬ জন ঢাবির শিক্ষার্থী নন। অথচ প্রত্যক্ষদর্শী ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শত শত শিক্ষার্থী হামলায় অংশ নেয়। সেই তুলনায় মাত্র ১২৮ জনের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্তি প্রহসনের শামিল। তালিকায় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের মতো প্রমাণিত হামলাকারীর নাম আসেনি। অথচ এমন অনেকের নাম এসেছে যারা হামলায় অংশই নেয়নি। এতে তদন্ত প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
ছায়া তদন্ত কমিটির কর্মপদ্ধতি নিয়ে রিফাত বলেন, এই ছায়া তদন্ত কমিটির মূল কাজ হবে হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। আমরা আগামী এক মাসের মধ্যে সেই শ্বেতপত্র প্রকাশ করব এবং তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটির কাছে হস্তান্তর করব।
ছায়া তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে একটি গুগল ফর্ম চালু করেছে এবং শিগগিরই একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর প্রদান করবে, যেখানে প্রত্যক্ষদর্শীরা তথ্য জমা দিতে পারবেন। কমিটির সদস্যরা প্রতিটি বিভাগ ও অনুষদ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবেন বলে জানানো হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত