রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিয়োগ প্রক্রিয়া চট্টগ্রামেই হওয়ার বিষয়ে দাবি তুলেছেন রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। রেলের খালাসীসহ সকল নিয়োগে রেল পোষ্য ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবিতে চট্টগ্রামের সিআরবিসহ বিভিন্ন শাখায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের উন্নয়নে নানাবিধ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। রেলকে আরো গতিশীল করতে বিভিন্ন মনিটরিংও করা হচ্ছে। বর্তমানে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে দোহাজারী রেললাইন প্রকল্প দ্রুত কাজ চলছে বলেও জানান তারা। আজ এ নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। এরপর পূর্বাঞ্চলের জিএম আবদুল হাইয়ের সাথে নেতৃবৃন্দরা সাক্ষাত করেন।
এসময় বিভিন্ন দাবিও তুলে ধরেন নেতারা। শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশ্যে জিএম প্রকৌশলী আবদুল হাই বলেছেন, রেলের জনবল সংক কমাতে নিয়োগ দ্রুত শেষ করতে হবে। এতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই সকল নিয়োগ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।
বক্তারা আরো বলেন, জনবল সংকট ঠেকাতে চলমান নিয়োগ দ্রুত শেষ হওয়ায় জন্য দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি। এ নিয়োগে কোন ধরণের অনিয়ম বা অশুভ শক্তি যাতে নিয়োগে কোন ধরণেন সমস্যার সৃষ্টি করতে না পারে সেই দিকে নজর রাখতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম। পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ শাখা শ্রমিক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, গাজি মো. জাকারিয়া মিন্টু, শহিদুল ইসলাম, এসএম জাহাঙ্গীর, জামাল উদ্দিন, আবদুল করিম, নুরুজ্জামান, ফজলুল করিম, কামাল পারভেজ বাদল, ছালেহ আহম্মদ, আবুল খায়ের, আবু বক্কর ছিদ্দীকি, আবুল বক্কর, মিজানুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন সুজন, গাজি শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম, মহসিন, জামাল উদ্দিন, অলিউর রহমান, রাইসুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, মিথুন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার