আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়াপার্সন খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে চট্টগ্রামের রাজনীতি। চট্টগ্রামে বিএনপির নেতারা প্রতিদিনই দলীয় কার্যালয়ে মিছিল-সমাবেশ করে দলকে আন্দোলনের জন্য সংগঠিত করছেন। একই সাথে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী ও সরকার বিরোধী কর্মকান্ড ঠেকাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা রাজপথে থাকবেন বলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে। নগর ছাড়াও জেলায়ও আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সহযোগি সংগঠন বিভিন্নভাবে সভা-সমাবেশ করবে। বড় এ দু’দলের হুশিয়ারি, পাল্টাপাল্টি অবস্থানে চট্টগ্রামবাসী আতংকিত অবস্থায় আছেন।
এ বিষয়ে আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জরুরী বর্ধিত সভারও আয়োজন করেছে। এতে ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিছিল ও ৮ ফেব্রুয়ারী নগরীর ১৬টি স্পটে নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হবে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জনগণের দাবি আদায়ে প্রতিনিয়ত বিএনপি রাজপথে রয়েছে। বিএনপিসহ দলের অঙ্গ সংগঠন সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দলের চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক যড়যন্ত্রমুলক মামলার রায়টি প্রশ্নবিদ্ধ হলে দেশের সাধারণ মানুষকে নিয়ে রাজপথে থাকবো বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন, নগর আওয়ামী লীগের জরুরী বর্ধিত সভায় সরকার বিরোধী কর্মকান্ড প্রতিরোধ, মিছিল ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে সমাবেশ করা হবে। তাছাড়া ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়ের দিন সংগঠনের নেতারা আরো শক্তিশালী হওয়াসহ সংগঠনের নানাবিধ কর্মকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তবে দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রামেও সকল কর্মকান্ড ও কর্মসূচি পালন করা হবে এবং সরকার বিরোধী যে কোন কর্মকান্ড ঠেকাতে রাজপথে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিমন ভবনেই গেল ৪ বছর ধরে বন্দী ছিলো বিএনপি’র কার্যক্রম। দলটির নেতাকর্মীরা, রাজপথের বিরোধী দল হিসেবে দাবি করলেও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে চার দেয়ালের বাইরে বের হতে পারেনি। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপর্সন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে রাজপথ দখলে নিতে চায় দলটি। সে লক্ষ্যেই এখন প্রতিদিনই চলছে সভা, সমাবেশ আর আলোচনা সভা। জামায়াতসহ জোট শরিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি।
একইভাবে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। তিনি সংগঠনের দায়িত্ব নেয়ার পর এ প্রথম বর্ধিত সভা হয়েছে। এ সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ নির্বাহী কমিটির সদস্য, থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক বা যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক বা যুগ্ম আহ্বায়কদের উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার