আইয়ুব বাচ্চু কিছুদিন আগেই চট্টল মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে বলেছিলেন, জীবনের শেষ সময়টা চট্টগ্রামেই কাটাতে চান। একখণ্ড ভূমি চেয়েছিলেন তিনি। মেয়র তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন। খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছিল একখণ্ড নিদাগী ভূমির।
চট্টগ্রাম শহরের কোথায় থাকতে চেয়েছিলেন শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু? খুলশী, লালখানবাজার না অন্য কোথাও?
এ ব্যাপারে মেয়রের একান্ত সহকারী রায়হান ইউসুফ জানান, 'বাচ্চুভাই জানিয়েছিলেন, যে কোন স্থানেই এক টুকরো আবাস হলেই চলবে। আলোচনার এক পর্যায়ে লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা, চট্টগ্রাম সিটি কলেজছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি দিদারুল আলম মাসুম সামনে আসতেই আইয়ুব বাচ্চু বলে উঠলেন, এই মাসুমের এলাকায় হলেও আমি একটু শান্তিতে থাকতে চাই।
আজ সেই লালখান বাজারেই মানুষের ঢল নামলো কোটি প্রাণের প্রিয় শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর জানাযায়। জানাযা শেষে চট্টগ্রামের বাইশমহল্লা কবরস্থানে মায়ের পাশেই চিরশায়িত হলেন এই কিংবদন্তি শিল্পী।
মাদার বাড়ি এলাকায় নানার বাড়িতে বাচ্চুকে দেখতে সেই সকাল থেকে ভিড় জমান হাজার হাজার ভক্ত শ্রোতা। নগরের সব পথ যেন মিশে যায় শিল্পী বাচ্চুকে শোকের সড়কে।
কী জানাযায়, কী নানা বাড়ির উঠোনে, বাচ্চুকে ঘিরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, প্রশাসন, গণমানুষ
সব এক কাতারেই সামিল হয়ে ছিলেন।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের উদ্যোগে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে জানাযার ব্যবস্থা করা হয়। এতে হাজার হাজার ভক্তের ভিড় সামলে শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন স্মরণকালের এই বৃহৎ জানাযায়।
জানাযার আগে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কিছুদিন আগে বাচ্চুর সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। তিনি চট্টগ্রামে একটি বাড়ি করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তার বাবার সঙ্গে ওই বাড়িতে জীবনের পরবর্তী সময় কাটাতে চান।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের এ প্রিয় সন্তানের জন্য নগরের যে কোনো স্থানে একটি আবক্ষ মূর্তি বসানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/২০ অক্টোবর ২০১৮/আরাফাত