চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা’ শীর্ষক কর্মশালায় ৩৬টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিভাসুর অডিটরিয়মে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।
সিভাসু’র গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, সভাপতিত্ব করেন সিভাসু’র গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. কবিরুল ইসলাম খান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নুরুল আবছার খান, ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. মো. রায়হান ফারুক এবং ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. আ. হালিম। অনুষ্ঠানের শুরুতে সিভাসু’র গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. কবিরুল ইসলাম খান বিশ^বিদ্যালয়ের বার্ষিক গবেষণা কার্যক্রম পাওয়ার-পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে একটি কথা বলতে চাই, সেটি হলো উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ। আমরা চাই দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সঙ্গে আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষণা কর্ম ইত্যাদির এক্সচেঞ্জ হোক। সব জায়গায় আমাদের একটা উপস্থিতি থাকুক। আমরা চাই, মানুষের কাজে লাগে এমন গবেষণাকর্মই হোক।’
তিনি বলেন, ‘গবেষণা একটি চলমান প্রক্রিয়া। গবেষণা যাতে সমাজের, দেশের কাজে লাগে সেদিকে নজর দিতে হবে। কারণ ছোট্ট একটা গবেষণাও সারা বিশ্বের জন্য বিশাল একটা অর্জন হতে পারে। আমরা চাই প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয় ভাল কাজের জন্য দেশ-বিদেশে সংবাদের শিরোনাম হোক। কারণ ভাল কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেমন সুনাম বয়ে আনে, তেমনি তা দেশের জন্যও সুনাম বয়ে আনে।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের সামনে ২০২১, ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা আছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনবল। দক্ষ জনবল তৈরির দায়িত্ব হল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা খাতে বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে। আমরা গবেষণা খাতে গুরুত্ব দিয়েছি।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার