চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় চাদাঁবাজির অভিযোগ এনে গণপিটুনিতে মারা যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ করেছেন নিহত সোহেলের ছোট ভাই মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির। তিনি বলেন, পাহাড়তলী বাজার ও আশেপাশের এলাকাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে কাজ শুরু করার কারণে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি কখনো কারও কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেননি। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি রেলওয়ের একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারও।
নিহত সোহেলের ছোট ভাই শিশির আরও বলেন, আমর বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা, সোহেল ভাই আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে ছোটকাল থেকে জড়িত। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাক ও চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমার ভাই যদি চাঁদাবাজি করতেন, সন্ত্রাসী হতেন তাহলে তার নামে মামলা ও জিডি থাকতো। কিন্তু তার নামে কোনো থানায় মামলা ও জিডি নেই।
আজ বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কন্ঠে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন শিশির।
শিশির সাংবাদিকদের হাত জোড় করে বলেন, দয়া করে আমার ভাইকে চাঁদাবাজ লিখবেন না। তিনি কোনো চাঁদাবাজি করেননি। আপনারা খোঁজ নেন, সোহেল ভাইয়ের নামে কোনো থানায় মামলা-তো দূরে থাক, জিডিও নেই। তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। এর প্রমাণ তার শরীরে ২৬টি ছুরিকাঘাতের চিহৃ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সোহেলের স্ত্রী নিগার সুলতানা, তার বারো মাসের শিশু সন্তান, তিন বছর বয়সী ছেলে ফায়াজ তাজোয়ার, মাসরিক, বাবা আব্দুল বারেক, মা ফিরোজা বেগম, বোন রাজিয়া সুলতানা, স্ত্রী নিগারের বড় বোন নাজনীন সুলতানা মেরী, শিউলি আকতার, ছোট বোন সুলতানা রাজিয়া, ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম, ৬ মাসের পুত্র আয়ান তাজওয়ার মাহাথির, একাত্তরের ঘাতক দালার নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত বাঙালি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মো. গাফ্ফারী রাসেল প্রমুখ।
গত সোমবার দুপুরে নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে চাদাঁবাজির অভিযোগ তুলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গণপিটুনিতে হত্যা করেছে। এটা নিয়ে চলছে চট্টগ্রামে ব্যাপক তোলপাড়-আলোচনাও। তবে স্থানীয়দের অবৈধ কাজে বাধা দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্টরাসহ পরিবারের অভিযোগ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার