মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার লক্ষ্যে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গেছেন জেলেরা। কার্তিকের ভরা পূর্ণিমায় আশানুরূপ ইলিশ পাওয়ার আশা করছেন তারা। বুধবার গভীর রাত এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলেরা সাগরে যাওয়া শুরু করেন।
জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা, বিক্রয়, মজুদ, সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সময়ে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলো নিরাপদ এলাকায় ভিড়িয়ে রাখেন। জেলেদের কেউ মাছ ধরার জাল তৈরির কাজ করেন, কেউ জোড়াতালি বুনে ঠিক করেছেন, আবার কেউ নৌকা ও ট্রলার মেরামত করে অলস সময় পার করেছেন।
সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আহ্বায়ক মো. শামসুল আলম জানান, ‘নগর ও উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ১০ হাজার মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। বোট মালিক ও জেলেরা অপেক্ষায় ছিলেন নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার। বুধবার রাত ১২টার পর থেকে জেলেরা সাগরে যাওয়া শুরু করেন। সামনের পূর্ণিমায় ইলিশ ধরা পড়বে। ইলিশ নিয়ে তারা ফিরবেন ১৪-১৫ দিন পর।’
মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেদের প্রণোদনা হিসেবে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। নগর ও ৫টি উপকূলীয় এলাকার ১৭ হাজার ৫০০ জন জেলেকে এসব চাল দেওয়া হয়। এসময়ে আনোয়ারায় বঙ্গোপসাগর ও সাঙ্গু নদীতে উপজেলা মৎস্য বিভাগ মা ইলিশ সংরক্ষণে মোবাইল কোর্টের অভিযান চালিয়ে এক হাজার মিটার জাল জব্দ করে।’
ফিশারিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জেলেদের সাগরে যাওয়ার কর্মব্যস্ততা। সংগ্রহ করা হয়েছে খাবার সামগ্রীও। উপকূলীয় এলাকা সীতাকুÐ, মিরসরাই, স্বদ্বীপ, আনোয়ারা ও বাঁশখালীর জেলেরাও সাগরে মাছ ধরতে গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার